অন্যের কাজে নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। নিজের নাকের অবস্থা দেখেই বোঝা যাবে, শরীরের কী হাল। শরীরের অনেক জটিল রোগের আভাস দিতে পারে নাক। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। শুধু যে উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যালার্জির সংক্রমণ বোঝা যায়, তা নয়। নাকে কিছু লক্ষণ দেখে অ্যালঝাইমার্সের মতো জটিল মানসিক ও স্নায়বিক ব্যধিরও ইঙ্গিত পাওয়া সম্ভব।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নাক দেখে বেশ কিছু রোগের পূর্বলক্ষণ বোঝা যায়, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, পারকিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্স অথবা ডিহাইড্রেশন।
কোন কোন রোগের সঙ্কেত দিতে পারে?
নাক দিয়ে রক্ত পড়া
নাগাড়ে ২০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে নাক থেকে রক্তপাত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নাক থেকে রক্ত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি মাথা ঝিমঝিম করে বা বমি পায়, তখন সতর্ক হতে হবে। ঘন ঘন নাক দিয়ে রক্তপাতের কারণ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রক্তজালিকাগুলিতে প্রদাহ হয় ও ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়।
আরও পড়ুন:
অ্যালার্জি
সব সময়ে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া অ্যালার্জি বা সাইনাসের কারণে হতে পারে। যদি দেখেন, রাতে শুলেই নাক বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তা হলে বুঝতে হবে, অ্যালার্জিক রাইনিটিস বা সাইনাস বাসা বেঁধেছে শরীরে।
গন্ধ না পাওয়া
সাধারণত জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে নাকে মিউকাস জমে থাকে। তখন কোনও ঘ্রাণ পাওয়া যায় না। তবে যদি দেখেন, সর্দি নেই বা ঠান্ডা লাগেনি,তার পরেও গন্ধ পাচ্ছেন না, তা হলে জটিল স্নায়বিক ব্যধি হতে পারে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, পারকিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্স রোগের ক্ষেত্রে এমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
ডিহাইড্রেশন
নাকের ভিতরের ত্বক অস্বাভাবিক রকম শুকিয়ে যাওয়া, নাকের ভিতর জ্বালা হলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে। ডিহাইড্রেশনের একটি লক্ষণই হল নাক ও মুখের ভিতরে শুষ্ক ভাব।