বর্ষাকালে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। সদ্যোজাত শিশুরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে, তার পরিণাম মারাত্মক হতে পারে। এত দিন সদ্যোজাতদের (যাদের ওজন ৪ কেজি ৫০০ গ্রামের কম) ক্ষেত্রে এই রোগের কোনও প্রতিষেধক ছিল না। তাদের চিকিৎসার জন্য বড়দের জন্য তৈরি ওষুধেরই ডোজ়ের তারতম্য ঘটিয়ে ব্যবহার করা হত। কিন্তু সম্প্রতি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থা ‘নোভার্টিস’। নাম ‘কোয়ার্টেম বেবি’।
আরও পড়ুন:
সদ্যোজাতদের জন্য ম্যালেরিয়ার ওষুধ আবিষ্কারের এই উদ্যোগে শামিল হয়েছিল আফ্রিকার আটটি ম্যালেরিয়াকবলিত দেশ (কেনিয়া, মোজ়াম্বিক, নাইজিরিয়া ইত্যাদি)। সমীক্ষা বলছে, আফ্রিকার ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি, এ রকম অঞ্চলে বছরে প্রায় ৩ কোটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। আবার ২০২৩ সালে ম্যালেরিয়ার কারণেই সারা বিশ্বে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার সিংহভাগই ঘটেছে আফ্রিকায়।
ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটির সঙ্গে এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মেডিসিনস ফর ম্যলেরিয়া ভেঞ্চার’। রয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং ‘রকফেলার ফাউন্ডেশন’। ‘নোভার্টিস’ দাবি করেছে, কিশোরদের ক্ষেত্রে যে ওষুধ দিয়ে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা করা হয়, তা সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হতে পারে। তারা যে ওষুধটি তৈরি করেছে, তার স্বাদ চেরির মতো। ওষুধটি মাতৃদুগ্ধে দ্রাব্য। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য ‘কায়োর্টেম’ বাজারে আনে নোভার্টিস। এ বার নবজাতকদের জন্য ওষুধটির নতুন সংস্করণ তৈরি করেছে তারা।
সাধারণের জন্য ব্যবহার
বিশ্বের বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিশ্বের কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ওষুধটির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। আরও কয়েকটি ট্রায়াল চলছে। তবে ওষুধটি সারা বিশ্বে বিনামূল্যে বিতরণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে ‘নোভার্টিস’।