Advertisement
E-Paper

ভিটামিন ডি-এর অভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে শিশু, ভুগবে অবসাদেও, কী কী খাওয়ালে ঘাটতি মিটবে?

স্কুলে যাচ্ছে যে শিশুরা তাদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি হয়। বাড়ন্ত শিশুদের কী কী খাওয়ালে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ হবে তা বিস্তারিত জানালেন পুষ্টিবিদ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১৭
Nutritious foods for children that Are high in Vitamin D

শিশু কী কী খেলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মিটবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।

নবজাতকেরা মায়ের দুধ থেকেই ভিটামিন ডি পেয়ে যায় অনেকটাই। কিন্তু যে শিশুরা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে তাদের ক্ষেত্রেই ভিটামিন ডি-এর অভাব হয় বেশি। এর কারণও রয়েছে। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, “এখনকার শিশুরা আর বাইরে বেরিয়ে খেলাধূলা করে না খুব একটা। গায়ে রোদও লাগে না। তাই বাড়ন্ত শিশুদেরই ভিটামিন ডি-এর অভাব হচ্ছে বেশি। এর ঘাটতি মেটাতে প্রথমেই ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টের উপর ভরসা করা ঠিক হবে না। তার থেকে খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতে হবে। বাবা-মায়েদের রোজ এমন খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে, যাতে তাদের শরীরে ভিটামিন-ডি এর চাহিদা অনেকটাই মিটে যায়।”

ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে কী হবে?

ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে যে কেবল হাড়ের ক্ষয় হবে বা হাড়ের গঠন মজবুত হবে না তা নয়, সমস্যা আরও বিভিন্ন দিক থেকে দেখা দেবে। শম্পার কথায়, “ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। পাশাপাশি মানসিক দিক থেকেও এর প্রভাব বোঝা যাবে। শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়বে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে। ছোট থেকেই অবসাদে ভুগবে শিশু। প্রচণ্ড ক্লান্তি, ঝিমুনি ভাব দেখা দেবে।”

সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে ঠিকই, তবে ত্বক থেকে তা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিভারে পৌঁছনো ও সেখান থেকে শরীরে ছড়িয়ে পড়ার যে পদ্ধতি, তা খুবই ধীর গতিতে হয়। সে ক্ষেত্রে খাবার থেকেই সরাসরি ভিটামিন ডি শরীরে ঢুকতে পারে বলে জানালেন শম্পা।

কী কী খাওয়াবেন শিশুদের?

১) মাছ খাওয়াতে হবে রোজ। পুষ্টিবিদ পরামর্শ দিচ্ছেন, বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি বেশি থাকে। তবে এখানে তো আর টুনা, কড মাছ পাওয়া যাবে না, সে ক্ষেত্রে ভেটকি, বাসা, পমফ্রেট মাছ খাওয়াতে পারেন। ছোট মাছ যেমন মৌরলায় ভিটামিন ডি আছে। ইলিশ মাছেও প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। আরও একটি মাছ হল লটে। এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।

২) ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি থাকে। তবে ডিমের খোলায় ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বেশি। সেটি ফেলে দেওয়া হয়, তাই কুসুম থেকে কিছুটা ভিটামিন ডি ঢোকে শরীরে।

৩) দুধ ও দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারেই ভিটামিন ডি ভাল পরিমাণে থাকে। শম্পা বলছেন, দুধ, পনির, ছানা শিশুদের খাওয়াতে হবে।

৪) অনেক শিশুরই গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে বাদামের দুধ যেমন কাঠবাদামের দুধ, ওট্‌স মিল্ক খেতে পারে শিশু।

৫) ভিটামিন ডি-এর জন্য ফ্যাট আছে এমন খাবার খেতে হবে, যার মধ্যে মাছ, মাংস, ডিমই পড়ছে। শম্পা জানাচ্ছেন, কম তেলে চিকেন রান্না করে দিন। মাংসের মেটে, মাছের ডিমেও ভিটামিন ডি থাকে।

৬) নিরামিষ খাবারে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম। শিশু যদি নিরামিষ খাবার পছন্দ করে, তা হলে বিভিন্ন রকম বাদাম খাওয়াতে পারেন। তবে আখরোট দিনে ২টির বেশি নয়, কাঠবাদাম ৪-৫টিই যথেষ্ট। মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে। মাশরুমের স্যুপ খাওয়াতে পারেন শিশুকে।

Vitamin Deficiency Vitamin D healthy food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy