ধূমপান যাঁরা করেন না, তাঁরাও কিন্তু ক্যানসারের ঝুঁকি সম্পূর্ণ রূপে এড়াতে পারেন না। নেপথ্যে রয়েছে সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়া, যাকে ‘প্যাসিভ স্মোকিং’ বলা হয়। সিগারেটের ধোঁয়া থেকে ছোট-বড়, সকলেরই নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
কী কী ক্ষতি
সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে একাধিক ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যার মধ্যে ক্যাডমিয়াম এবং ক্রোমিয়াম অন্যতম। যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁদের শরীরে অন্য ব্যক্তির সিগারেটের ধোঁয়া তাই ক্ষতিকারক হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ধূমপায়ীদের তুলনায় তাঁদের ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের একটা বড় অংশের সিগারেটের ধোঁয়ার কারণে হার্টের অসুখ হতে পারে। ২০২৩ সালে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর বিশ্বে সিগারেটের ধোঁয়ার কারণে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের মৃত্য হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে সিগারেটের ধোঁয়া থেকে অ্যাজ়মা, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া হতে পারে। সিগারেটের ধোঁয়া থেকে শিশুদের ফুসফুসের গড়ন বদলে যেতে পারে।
ধূমপানের পর তার ধোঁয়া সরে গেলেও বাতাসে এবং ঘরের মধ্যে বা পোশাকে ক্ষতিকারক কণা রয়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে তা শরীরে প্রবেশ করলে, কোনও ব্যক্তির ডিএনএ-র গঠন বদলে যেতে পারে। তার ফলে দেহে রোগপ্রতিরোঘ ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে কমতে থাকে।
তাই যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁদের সামনে কেউ ধূমপান করলে তার ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।