পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রোবায়োটিক কতটা উপকারী, সে কথা অনেকেই জানেন। তবে ইদানীং পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে প্রোবায়োটিকের পাশাপাশি প্রিবায়োটিক রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রোবায়োটিক আর প্রিবায়োটিককে গুলিয়ে ফেললে কিন্তু চলবে না। দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা। দু’রকম খাবারই অসুখবিসুখ থেকে বাঁচাতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করে। তবে পেট ভাল রাখতে কোনটা বেশি উপকারী, তা জেনে রাখা ভাল।
প্রোবায়োটিক শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ভাল ব্যাক্টেরিয়া খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতি দিন যে সব খাবার খাওয়া হয়, তার মাধ্যমে অনেক রাসায়নিক ঢোকে শরীরে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে আমাদের অন্ত্রে খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ে। এই খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি নষ্ট করার জন্যই প্রয়োজন প্রোবায়োটিক। আর প্রিবায়োটিক হল এক ধরনের ফাইবার জাতীয় উপাদান। এটি পাচিত হয় না, তবে অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং পেট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
প্রিবায়োটিক আর প্রোবায়োটিক, দুইয়ে মিলে করে কাজ
প্রোবায়োটিকের সঙ্গে প্রিবায়োটিক মিলিয়ে খেলেই উপকার বেশি, এমনটাই মত পুষ্টিবিদদের। টক দই প্রোবায়োটিকের সব চেয়ে ভাল উৎস। রোজ টক দই খেলে উপকার হবে। টক দই দিয়ে লস্যি বা ঘোল বানিয়েও খাওয়া যায়। কয়েক ধরনের চিজেও প্রোবায়োটিক থাকে। আবার ইডলি, দোসা, দই, আচার, ঘোলের মতো খাবারের মাধ্যমেও প্রোবায়োটিক যায় শরীরে।
ওট্সে প্রিবায়োটিক রয়েছে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে কিন্তু দইয়ের সঙ্গে ওট্স মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। কলার মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। এটিও প্রিবায়োটিক। দই ও ওট্সের সঙ্গে কলা মেশালে পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। আবার কিমচি বা দইয়ের সঙ্গে প্রিবায়োটিক, যেমন পেঁয়াজ বা রসুন কিন্তু উত্তম ‘ফুড কম্বিনেশন’। কাঁচা রসুনের মধ্যেও প্রিবায়োটিক থাকে। রোজ সকালে উঠে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেতে বলা হয়। প্রোবায়োটিকের সঙ্গে প্রিবায়োটিক মিলে গেলে অন্ত্রের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলি আরও পরিপুষ্ট হয়, ফলে হজমপক্রিয়া আরও উন্নত হতে পারে।