Advertisement
E-Paper

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই কি ডায়াবিটিস? নেপথ্যে আর কোন কোন কারণ থাকতে পারে

শরীরে কিছু রোগ বাসা বাঁধলেও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Symbolic image of Urination

পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, দিনে আট বারের বেশি প্রস্রাব করলে তাকে ঘন ঘন প্রস্রাব হিসাবে গণ্য করা হয়। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৪
Share
Save

ঘন ঘন প্রস্রাব বা রাতে বার বার শৌচাগারে যাওয়া— এই উপসর্গ দেখা দিলে সকলেই শঙ্কিত হন। তার মানে কি ডায়াবিটিস হয়েছে? বয়স্কদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। অন্তঃসত্ত্বারাও এ সমস্যায় ভোগেন। জেনে রাখুন, ডায়াবিটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ হলেও ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাব অন্যান্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।

এক জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে চার থেকে আটবার মূত্রত্যাগ করে থাকেন। পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, দিনে আট বারের বেশি প্রস্রাব করলে তাকে ঘন ঘন প্রস্রাব হিসাবে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন বয়সে প্রস্রাবের স্বাভাবিক পরিমাণ বিভিন্ন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রস্রাবের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় তিন লিটার বা এর অধিক হলে তা অস্বাভাবিক। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে 'পলিইউরিয়া'।

ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব— উপসর্গ দুটো আলাদা। অনেক ক্ষেত্রেই এ দুটো একসঙ্গে দেখা যায়। কেন না প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রস্রাব ঘন ঘন হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই ঘন ঘন প্রস্রাবের মূল কারণ হল অধিক বা অস্বাভাবিক পরিমাণে জল খাওয়া। একে ‘সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া’ বলা হয়।

কিছু ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কারণেই বেশি প্রস্রাব হতে পারে। যেমন অতিমাত্রায় পানীয় বা অ্যালকোহল সেবন, ক্যাফিনযুক্ত পানীয় গ্রহণ, শীতকালে যখন ঘামের পরিমাণ কমে যায়, গর্ভাবস্থায়, প্রস্রাব বৃদ্ধিকারক ওষুধ সেবন, ১০ হাজার ফুট উপরে ভ্রমণের সময়ে কিংবা অধিক মাত্রায় ভিটামিন সি ও বি২ গ্রহণ ইত্যাদি। এই সব কারণ খুবই স্বাভাবিক। তবে শরীরে কিছু রোগ বাসা বাঁধলেও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Symbolic image of Urination

ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনও রোগ নয়, বরং রোগের উপসর্গ মাত্র। ছবি: শাটারস্টক।

ডায়াবিটিস ছাড়া অন্য যে সব কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়:

১) মূত্রনালি কিংবা মূত্রথলির সংক্রমণ।

২) গর্ভাবস্থার প্রথম ও শেষ দিকে।

৩) বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়।

৪) স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার।

৫) মস্তিষ্কের টিউমার, অস্ত্রোপচার, আঘাত, কিডনি রোগের কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়।

৬) শরীরে থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য হলে।

৭) রক্তে ক্যালশিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য ঘটলে।

ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনও রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গ মাত্র। এর কারণে শরীরে জলশূন্যতা, জলের ভারসাম্যহীনতা, সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা হতে পারে। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডায়াবিটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।

Frequent Urination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy