Advertisement
E-Paper

পিসিওএস-মুক্ত সারা, কী ভাবে নির্মূল হল রোগ? ওষুধে নয়, আসল রহস্য জানালেন সচিন-কন্যা

পিসিওএসে ভুগছেন অনেকেই। হরমোন-ঘটিত রোগটি নিয়ে নাজেহাল বয়ঃসন্ধির অনেক মেয়েই। ওষুধপত্র, ডায়েটেও রোগ সারে না অনেকের। সারা তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, তিনি কী ভাবে রোগ সারিয়ে উঠলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ১৫:৪২
Sara Tendulkar shares her science-backed journey to conquering PCOS

কী ভাবে পিসিওএস সারালেন সচিন-কন্যা? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সারা তেন্ডুলকরের সৌন্দর্য ও ছিপছিপে গড়ন দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে, তিনি এক সময়ে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে (পিসিওএস) ভুগতেন। বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই পিসিওএস ধরা পড়ে সারার। লক্ষণও প্রকাশ পেতে থাকে একটু একটু করে। সেই সময়ে নিজের চেহারা নিয়ে একটু বেশিই সচেতন হয়ে পড়েছিলেন সারা। তবে কেবল ওষুধে ভরসা রাখেননি। বদলে ফেলেছিলেন জীবনযাপনের ধরনও। এখন সম্পূর্ণ ভাবে তিনি পিসিওএস-মুক্ত। হরমোন-ঘটিত এই রোগটি নিয়ে এ দেশের অনেক মেয়েই নাজেহাল। ওষুধপত্র, ডায়েটেও রোগ সারে না অনেকের। তাই সারা কী ভাবে এই ব্যাধি সারিয়ে উঠলেন, তা জেনে রাখা ভাল।

সারা তখন সপ্তম শ্রেণিতে। পিসিওএসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে সেই সময়েই। গোটা মুখে ভরে যায় ব্রণতে, শরীরে লোমের আধিক্যও দেখা দিতে থাকে। ত্বক তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে, সেই সঙ্গেই বাড়তে থাকে ওজন। ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সচিন-কন্যা। মেকআপ দিয়েই ত্বকের অতিরিক্ত রোম ও ব্রণ-ফুস্কুড়ি ঢাকতে হত তাঁকে। তিনি যে পিসিওএসে আক্রান্ত তা ধরা যায় আরও পরে। সেই সময়ে নানা রকম ত্বকের থেরাপি, ওষুধ, রেটিনল ট্রিটমেন্ট করাতে শুরু করেন। মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিকও খেতে শুরু করেন। তবে তাতে লাভ হয়নি। পিসিওএসে ভুগছেন, এমন কমবয়সি মেয়েদের অনেকেই এই ভুলগুলি করেন। সারা জানাচ্ছেন, কোনও কিছুতেই লাভ না হওয়ায়, তাঁর মা চিকিৎসক অঞ্জলি তেন্ডুলকর ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে জীবনযাপনের ধরনই বদলে ফেলেন।

পিসিওএসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ওজন বৃদ্ধি। স্থূলত্বের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে এই রোগ হতে পারে, আবার পিসিওএস হওয়ার কারণেও ওজন বাড়তে পারে। তাই শুরুতেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে প্রোটিন ডায়েট শুরু করেন সারা। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংও করেন নিয়ম মেনে। তাতে ওজন কমতে থাকে তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসেও বদল আনেন। সারার দিন শুরু হত এক গ্লাস জল, কয়েকটি বাদাম ও কালো কফি খেয়ে। রোজের খাওয়া থেকে দুধ-চিনি একেবারেই ছেঁটে ফেলেন। নরম পানীয় ছেড়ে ডিটক্স পানীয় খাওয়া শুরু করেন। পাশাপাশি শরীরচর্চাও শুরু করেন। সারা জানিয়েছেন, খুব সকাল সকাল উঠে তিনি শরীরচর্চা সেরে ফেলতেন। তার পর কালো কফি খেতেন। এতে সারাদিনের কাজে উৎসাহ ও শক্তি, দুই-ই পেতেন। রাতের খাওয়া খেতেন খুব তাড়াতাড়ি। নিয়মমতো শরীরচর্চা ও ডায়েটই তাঁকে রোগমুক্ত হতে সাহায্য করে।

পিসিওএসে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানালেন চিকিৎসক পুষ্পিতা মণ্ডল। তবে তাঁর মতে, পিসিওএস থাকলে ডায়েট কেমন হবে তা চিকিৎসকের থেকেই জেনে নিতে হবে। দিনে ঘন ঘন কালো কফি খেলেই যে ওজন কমবে তা নয়, এতে ক্যাফিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অন্য বিপত্তি হতে পারে। তা ছাড়া ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সকলের জন্য নয়। তার চেয়ে সুষম ডায়েট করলেই লাভ হবে বেশি। পিসিওএসে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খেতেই বলা হয়, তবে রোজের খাওয়ায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পরিমাণমতো থাকতে হবে। শুধু প্রোটিন খেয়ে থাকলে চলবে না। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা জরুরি। তবে ডায়েট বা শরীরচর্চা সবই কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শমতোই করতে হবে।

Sara Tendulkar PCOS
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy