অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করার পর হ্যাংওভারের জেরে সকালে অফিস বা অন্য কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
নভেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি, এই সময়টা জুড়ে দেদার পিকনিক, রাত করে পার্টি, সপ্তাহশেষে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা। পিকনিক-পার্টি মানেই বন্ধু-স্বজনের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো। মদ্যপানও এই সময়ে অনেকেই করে থাকেন।
এ দিকে, অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করার পর হ্যাংওভারের জেরে সকালে অফিস বা অন্য কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে। ফলে ব্যস্ত জীবনে ছন্দপতন ঘটে। তাই হ্যাংওভার কাটানোর উপায় জেনে রাখা খুব জরুরি। যদিও বাজারে এখন হ্যাংওভার কাটানোর নানা রকম ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু এই রকম ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। অনেকে আবার হ্যাংওভার কাটাতে কালো কফি খান। এতে কি আদৌ কোনও লাভ হয়? না কি বিপদ বাড়ে?
কফিতে থাকা ক্যাফিন আদতে ডাইউরেটিক পদার্থ। অর্থাৎ, কফি খেলে ঘন ঘন মূত্রবেগ আসে। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তার উপর মদ্যপান করলে শরীরে এমনিতেই জলের মাত্রা কমে যায়। সব মিলিয়ে মদ্যপানের পর কফি খেলে শরীরে জলশূন্যতার আশঙ্কা বেড়ে যায়। হ্যংওভার কাটার পরিবর্তে শরীরে অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত মদ্যপানের পর ঘুম থেকে উঠলে অনেকের মাথাব্যথা হয়। তা ছাড়া, কফি খেলে আপনার মাথাব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। ক্যাফিন রক্তনালিগুলিকে সঙ্কুচিত করে। ফলে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত মস্তিষ্কে ঠিক মতো যেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে মাথাব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। কফি খেলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপও বেড়ে যাওযার আশঙ্কা থাকে। শরীরে অস্বস্তি বাড়ে। তাই হ্যাংওভার কাটাতে কফি না খাওয়াই ভাল। বরং সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবুজল, মধু কিংবা কলা খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy