দুই সন্তানের মা। বয়স ৪৫ বছর। তবু চেহারায় বলিরেখা খুঁজতে গেলে বেগ পেতে হবে। মুম্বইয়ের অভিনেত্রী, এক কালে টেলিভিশনের জনপ্রিয় নায়িকা শ্বেতা তিওয়ারির রূপসৌন্দর্য আজও চর্চায় উঠে আসে। শ্বেতা-কন্যা পলক তিওয়ারি বলিউডে পা রেখে ফেলেছেন। নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী। ২৫ বছরের মেয়ে তবু মায়ের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারেন না। কী ভাবে মা আজও এত সুন্দর? চেহারায় কী ভাবে যৌবন ধরে রেখেছেন তিনি?
শ্বেতা যখন দ্বিতীয় বার মা হয়েছিলেন, সে সময়ে ৭৩ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল তাঁর। পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর শরীরের নানা অংশে প্রবল ব্যথাও সহ্য করতে হত তাঁকে। সে সময়ে মেয়ে পলক নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন মাকে। যাতে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। সেই শ্বেতা কি আজও একই রকম নিয়ম মেনে চলতে পছন্দ করেন? প্রবল কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী? ভুল ভেঙে দিলেন শ্বেতা-কন্যা।
কন্যা এবং পুত্রের সঙ্গে শ্বেতা। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পলক জানালেন, তাঁর মা চেহারায় ‘তারুণ্য’ ধরে রাখার জন্য অথবা ছিপছিপে থাকার জন্য বিশেষ কিছুই করেন না। কোনও কঠিন নিয়ম মেনে চলার তাগিদই নেই শ্বেতার। না জিমে যান, না নিয়ম করে বাড়িতে শরীরচর্চা করেন। কিন্তু পলকের আফসোস, ‘‘মায়ের মতো সৌভাগ্য আমার নেই। তাই আমাকে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে হয়। এখন আমি মূলত কার্ডিয়ো করি।’’
যদি গত জুলাই মাসে এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা জানিয়েছিলেন, নতুন করে পিলাটিজ় শিখছেন তিনি। মাঝে মধ্যে হাঁটতেও যান, ভারোত্তোলনের অভ্যাস করেন। কিন্তু নিজের শরীর ও মনের উপর চাপ দিয়ে কিছু করতে চান না শ্বেতা। হালকা ব্যায়ামের উপর ভরসা রাখেন তিনি। শ্বেতা যোগাসনও শুরু করেছিলেন সে সময়ে। কিন্তু যোগে মন দিতে গিয়েই বিপাকে পড়তেন তিনি। যোগাসন শুরু করলেই তাঁর মনে পড়ত, বাড়ির কী কী কাজ বাকি। ফলে সেই অভ্যাসে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি অভিনেত্রী।
তবে শ্বেতা খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে খানিক সচেতন। অস্বাস্থ্যকর খাবার খান না তিনি। ফলে হালকা শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকল খাবার খেয়ে নিজেকে সুস্থ এবং ছিপছিপে রাখতে পেরেছেন ৪৫ বছরের অভিনেত্রী শ্বেতা।