কাশি হলে অবহেলা করবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে সর্দি-কাশি হল নিত্যদিনের সঙ্গী। জ্বর কমছে তো সর্দি সারছে না, গলা খুসখুস সেরে গেল তো কাশি থামছে না। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বা়ড়ছে কাশির দমক। অফিস, মেট্রো, শপিংমল, রাস্তাঘাট— সর্বত্র কাশির শব্দে মুখর। অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা যতটা গুরুত্ব পায়, কাশি কিন্তু সেক্ষেত্রে খানিকটা অবহেলিত। কাশি হলে এক চামচ সিরাপ খেয়ে নেওয়াই যথেষ্ট বলে মনে হয় অনেকেরই। আবার অনেকে সেটাও করেন না। কিন্তু কাশি যে শুধু ঠান্ডা লাগলে হয় তা কিন্তু নয়। গলায় সংক্রমণ, পেটের কোনও সমস্যা, ক্রনিক রোগও কাশির নেপথ্যে থাকতে পারে। তাই কাশির সমস্যা একেবারেই অবহেলা করলে চলবে না। কাশির সঙ্গে কোন লক্ষণগুলি দেখলে সাবধান হবেন?
বর্ণবিহীন কফ
কাশির সঙ্গে কফ উঠলে ধরে নেওয়া হয় ভিতরে ভিতরে জ্বর হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কফের রং অনেক সময় হলুদ, ফ্যাকাসে হয়। কিন্তু একটানা কাশি হয়ে চলেছে এবং কফ উঠছে, কিন্তু কফের কোনও রং নেই— তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। অনেক সময় হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে এমন হয়। তাই ফেলে রাখা ঠিক হবে না।
কাশির সঙ্গে রক্ত
কাশির সঙ্গে রক্ত বেরোলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কাশির সঙ্গে রক্তপাত স্বাভাবিক কোনও বিষয় নয়। ফুসফুসে ক্যানসার, অ্যাজ়মা, ব্রঙ্কাইটিস কিংবা সিওপিডি থাকলে এমনটা হয়।
শ্বাস নিতে কষ্ট
একটানা কাশি হলে শ্বাসকষ্ট হয়। কিন্তু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না একেবারেই। কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টের নেপথ্যে থাকতে পারে অম্বল, অ্যাজ়মা, অ্যালার্জির সমস্যা। তাই নিজের চিকিৎসা নিজে না করে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দু’সপ্তাহ ধরে কাশি
ঠান্ডা লাগলে কাশি হলে তা ৪-৫ দিনের বেশি থাকে না। তবে ২-৪ সপ্তাহ ধরে কাশি না থামলে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা জরুরি। গলায় কোনও সংক্রমণের কারণে এমন হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy