শিশুকে কোন কোন খাবার খাওয়ালে পেটের রোগ বাড়বে। ছবি: ফ্রিপিক।
সঠিক পুষ্টি না পাওয়া, অনিয়মিত জীবনধারা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে পেটের রোগ দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ভুগছে পেটের অসুখে। বমি, পেট খারাপ লেগেই আছে। ছোট থেকেই ভোগাচ্ছে গ্যাস-অম্বল। ফলে অনেক শিশুই অ্যান্টাসিড খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এই সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরও বিভিন্ন জটিল অসুখ মাথাচাড়া দিচ্ছে। শিশুদের এই পেটের রোগের সমস্যাকে প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্ব না দিলে পরবর্তীতে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, পেপটিক আলসার, ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশুদের পেটের রোগের সবচেয়ে বড় কারণ হল ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেছিলেন, ছোট থেকেই বাইরের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের। বাবা-মা যদি দু’জনেই কর্মরত হন, তা হলে ব্যস্ততার কারণে শিশুর টিফিন বাক্সে রাস্তা থেকে কেনা খাবারই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছোটরা বায়না করলেই বাবা-মায়েরা পিৎজ়া, বার্গার, সসেজ় কিনে দিচ্ছেন, নিজেরাও তা খাচ্ছেন। ফলে ছোট থেকেই ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি ঝোঁক তৈরি হচ্ছে শিশুর। ঘরে তৈরি হালকা খাবার খাওয়ার আর রুচি থাকছে না। যে কারণেই পেটের রোগ দেখা দিচ্ছে কম বয়স থেকেই। তা ছাড়া রাস্তা থেকে কেনা নরম পানীয়, প্যাকেটবন্দি পানীয়, বেশি মাত্রায় চকোলেট খাওয়ার প্রবণতার কারণে রোটা ভাইরাসের সংক্রমণও ছড়াচ্ছে যে কারণে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ায় ভুগছে শিশুরা। পেটের সমস্যা যদি লাগাতার হতে থাকে তা হলে তা পরবর্তী সময়ে গিয়ে আলসারের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
হোটেল-রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিরিয়ানি, রোল-চাউমিন, প্যাকেট প্যাকেট চিপস, রেড মিট খাওয়ার অভ্যাস যদি শিশুর থাকে তা হলেও তা পেপটিক আলসারের ঝুঁকি বাড়াবে। তাই শিশুকে ঘরে তৈরি খাবারই খাওয়াতে হবে। ভাত, ডাল, কম তেলে রান্না মাছের ঝোল, চিকেন স্ট্যু খাওয়াতে হবে। জল ফুটিয়ে খাওয়ানো উচিত। স্কুলে বা অন্য কোথাও গেলে বাড়ির জলই ভাল। তা না হলে ভাল ব্র্যান্ডের মিনারেল ওয়াটার। রাস্তায় বিক্রি হওয়া কাটা ফল, বা দীর্ঘসময় ফেলে রাখা স্যালাড খাওয়া চলবে না। ফল খাওয়ালে ভাল করে ধুয়ে তবেই শিশুদের দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy