নতুন কিছু শিখতে বা কোনও কিছু মনে রাখতে হলে কিন্তু গোটা মাথাটাই খাটাতে হয় না। মস্তিষ্কের এক একটি অংশের এক এক রকম দায়িত্ব। শেখা এবং স্মরণশক্তির কাজ করে ‘হিপোক্যাম্পাস’। একটি গবেষণা বলছে শরীরচর্চা করে এই হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলে নতুন কোষ তৈরি করা যেতে পারে, যা মস্তিষ্কের ওই অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
অফিসের কাজ হোক বা পড়াশোনা বা দৈনন্দিন জীবনযাপনে শেখা ও স্মরণ করার কাজই হয় বেশি। কোনও উপায়ে যদি সে ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া যায়, তবে নিঃসন্দেহে জীবন সহজ হবে, উন্নতও হবে। চিনের ইউহান স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তিন ধরনের শরীরচর্চা মস্তিষ্কের ওই অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
কোনও উপায়ে যদি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া যায়, তবে নিঃসন্দেহে জীবন সহজ হবে।
১। ডুয়েল টাস্ক ওয়ার্কিং
মানে শুধু হাঁটলেই চলবে না। হাঁটার সঙ্গে মাথা খাটানোর মতো কাজও করতে হবে। ধরা যাক হাঁটতে হাঁটতে হিসাব কষলেন। অথবা ১০০ থেকে উল্টো দিকে গুণলেন। মেমোরি গেম-এর মতো স্মৃতিশক্তি ভাল রাখার খেলাও খেলতে পারেন মনে মনে।
২। রেজ়িস্ট্যান্স ট্রেনিং
ভারী জিনিস বা ডাম্বল তোলা, যাকে ওয়েট ট্রেনিং বলা হয়, তা হল রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং। আবার জিমে রাবার ব্যান্ডের সাহায্য পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে সমস্ত ব্যায়াম করানো হয়, তা-ও রেজিস্ট্যান্স প্রশিক্ষণেরই অঙ্গ। গবেষণা বলছে, পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি এই ধরনের ব্যায়াম স্নায়ুর বিকাশেও সাহায্য করে।
৩। পায়ের ব্যায়াম
শরীরের সবচেয়ে বেশি পেশি থাকে পায়ে। তাই পায়ের পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য করা যে কোনও ব্যায়ামই স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, স্কোয়াট করা বা পায়ের পেশি সুগঠিত করার যোগাসন পরোক্ষে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে, যা মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করতে পারে।