সর্দির উৎস কোথায়? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই অগুন্তি হাঁচি। আবার কারও সারা বছর ধরেই হতে থাকে খুসখুসে কাশি। হাসলে বা কোনও কারণে গলায় চাপ পড়লেই কাশতে থাকেন। পুজোর সময়ে আবহাওয়ার হেরফের হলে ঠান্ডা-গরমে সর্দি, কাশি হয় অনেকেরই। কিন্তু তা ঠান্ডা লেগে হল না কি বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জিজনিত কারণে হল, তা বুঝতে পারছেন না। পুজোর সময়ে এই ধরনের ঠান্ডা লাগা নিয়ে ঘুরতে যেতে কিংবা ঠাকুর দেখতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকির। ভিড়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বেশি। ঠান্ডা লাগার মতো বিষয় নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না অনেকেই। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ জেনে রাখলে বুঝতে সহজ হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, অ্যালার্জিজনিত কারণে নাক থেকে জল পড়ে। চোখ, নাক, মুখ এবং গলায় সুড়সুড় করতে পারে। কারও কারও গলা চুলকোয়। অ্যালার্জি হলে সাধারণত সর্দির ধরন স্বচ্ছ, পাতলা হয়। কিন্তু ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ হলে শুধু ঠান্ডা লাগা নয়, সঙ্গে জ্বরও আসতে পারে।
নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
১) অ্যালার্জিজনিত সমস্যার অন্যতম কারণ হল বায়ুদূষণ। তাই ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত রাখে এমন গাছ রাখতে পারেন। এয়ার পিউরিফায়ার ঘরে রাখতে পারেন। যা বদ্ধ জায়গার বাতাস দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
২) বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা কমতে শুরু করায় বাইরে ধুলোর পরিমাণ বাড়তে শুরু করে এই সময় থেকে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করাই ভাল।
৩) বাড়ি ফিরেই হাত-পা ভাল করে ধোয়া এবং জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি নাসারন্ধ্রও জীবাণুমুক্ত করা জরুরি। তাই ধৌতি পদ্ধতিতে নাক জীবাণুমুক্ত রাখার অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy