শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে নানা নির্দেশ ঘিরে চর্চা শুরু হয়। যেমন সম্প্রতি ওজন কমাতে ট্রেডমিলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকের বাড়িতেই ট্রেড মিল থাকে। কিন্তু অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। পরিকল্পনা করে অল্প সময় খরচ করলেই কমতে পারে ওজন। নেপথ্যে রয়েছে ‘১২-৩-৩০’ নীতি।
‘১২-৩-৩০’ নীতি কী?
বলা হচ্ছে, ওজন কমানোর জন্য ট্রেডমিলের বেসকে ১২ ডিগ্রিতে রাখতে হবে। তার পর ৩ মাইল (৪.৮ কিলোমিটার বা ৫ কিলোমিটার) প্রতি ঘণ্টায় ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। যাঁরা দৌড়তে পছন্দ করেন না বা হাতে সময় কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পন্থায় ওজন কমতে পারে।
আরও পড়ুন:
কতটা উপকারী
‘১২-০৩-৩০’ নীতি কতটা উপকারী, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে ১৬ জন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিকে (মহিলা এবং পুরুষ) এই পদ্ধতিতে হাঁটতে বলা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁদের নিজের ইচ্ছামতো ট্রেডমিলে ৩০ মিনিট হাঁটতে বলা হয়। দেখা গিয়েছে, উভয় পদ্ধতিতেই ব্যক্তির শরীরে মেদের পরিমাণ কমেছে। নিজের ইচ্ছেমতো হাঁটার ফলে প্রতি মিনিটে যেখানে ব্যক্তির প্রতি মিনিটে ১৩ ক্যালোরি কমেছে, সেখানে কিন্তু ‘১২-৩-৩০’-এর ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ১০ ক্যালোরি কমেছে।
কোনটি ভাল
ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা করলে তা বেশি মেদ ঝরাতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাই ‘১২-৩-৩০’ পদ্ধতিতে কম ক্যালোরি ঝরেছে। তবে এই পদ্ধতিতে ট্রেডমিলটি একটি বিশেষ কৌণিক অবস্থানে থাকে বলে, পরিশ্রম বেশি হয়। তাই দেহ ফ্যাট থেকে প্রায় ৪১ শতাংশ শক্তি সঞ্চয় করে। অন্য দিকে ট্রেডমিলের নীচের অংশ ১৮০ ডিগ্রিতে রেখে দৌড়নোর ফলে ব্যক্তির প্রয়োজনীয় শক্তির ৩৩ শতাংশ ফ্যাট থেকে আসে।
মেদ কমানোর জন্য হাতে সময় থাকলে দৌড়নো সবচেয়ে উপকারী। কিন্তু হাতে সময় থাকলে হাঁটা যেতে পারে। যাঁরা শরীরচর্চা শুরু করতে ইচ্ছুক বা যাঁদের অস্থিসন্ধিতে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মেদ কমানোর জন্য ‘১২-৩-৩০’ নীতি উপকারী।