সন্তান জল কম খাচ্ছে না তো? ছবি: শাটারস্টক।
শীতের আমেজ যায়নি এখনও। লেপ, কম্বল আলমারিতে উঠে গেলেও ভোরের দিকে হালকা চাদর গায়ে টেনে নিতে হচ্ছে। তবে দিনের বেলায় আবার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা দিচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে শিশুদের। স্কুলে যাতায়াতের কারণে এমনিতেই ক্লান্ত থাকে বাচ্চারা। তার উপর জল কম খাওয়ার কারণে সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করে। এমন খামখেয়ালি আবহাওয়ায় শিশুদের খাবার হজম করতেও অসুবিধা হয়। নানা রকম পেটের সংক্রমণে ভোগে। পেটের সংক্রমণ থেকে বমি ও ডায়রিয়াও শুরু হয়। ফলে শরীর থেকে জল এবং প্রয়োজনীয় নানা উপাদান বাইরে বেরিয়ে যায়। আপনার সন্তানও জলশূন্যতায় ভুগছে কি না, বুঝবেন কী ভাবে?
১) শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি হলে ঠোঁট ও মুখের চারপাশ শুকিয়ে যায়। সে দিকে নজর রাখুন। যদি এমন হয়, তা হলে শিশুকে ভাল করে জল খাওয়ান। জল বেশী রয়েছে, এমন ফল খাওয়ানোও জরুরি।
২) শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রস্রাব হলুদ রঙের হবে। শিশু যদি দু’-তিন ঘন্টা অন্তর প্রস্রাব না করে, তা হলেও বুঝবেন, তার শরীরে জলের ঘাটতি হয়েছে।
৩) ডিহাইড্রেশন হলে শিশুরা সারা ক্ষণ ঝিমিয়ে থাকে। খেলাধুলা না করে দিনের বেশির ভাগ সময়েই ঘুমিয়ে থাকতে চায়। এই প্রবণতা দেখা দিলে এখনই সাবধান হোন।
৪) শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি হলে তার মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। শিশু সব সময়ে ঘ্যানঘ্যান করলে বা কান্নাকাটি করলে, তার শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে কি না দেখুন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে অভিভাবকদের কী করণীয়?
শিশুর শরীরে এই লক্ষণগুলি দেখা গেলেই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। শিশুর যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খায়, সে দিকে নজর দিন। এক বোতল জলে এক প্যাকেট ওআরএস গুলে রাখুন। মাঝেমাঝেই সেই জল শিশুকে খাওয়াতে থাকুন। যদি দেখেন, শিশু যে মাত্রায় জল খাচ্ছে, তার বেশি পরিমাণ জল শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তা হলে কিন্তু চিকিৎসকরের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধ খাওয়ার পরেও বমি বন্ধ হয় না, সে ক্ষেত্রে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy