রূপচর্চা যতই করুন না কেন, সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য ভুঁড়িই যথেষ্ট। জীবনযাপনে বদল, হাঁটাচলা কম হওয়ার জন্য ওজন বৃদ্ধি এখন বড় সমস্যা। বিশ্ব জুড়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থূলত্বের মতো অসুখ। তবে সকলেরই যে পেটে, বুকে, কোমরে সমান মেদ জমে তা কিন্তু নয়। কারও আবার শরীরের তেমন মেদ না থাকলেও দেখা যায় ভুঁড়ি হয়েছে। বিশেষত মহিলাদের তলপেটে মেদ জমার প্রবণতা থাকে। সমস্যা হল, শরীরের অন্য অংশে মেদ জমলে যতটা সহজে কমানো যায়, পেটের মেদ কমানো ততটা সহজ হয় না।
ওজন কমিয়ে সুঠাম শরীর পেতে যেমন খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় তেমনই দরকার হয় শরীরচর্চা। কিন্তু মেপে খেয়ে, শরীরচর্চা করেও ভুঁড়ি না কমার কারণ কী থাকতে পারে?
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অ্যান মারিয়া টম। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও যথেষ্ট। চেষ্টা করার পরেও ওজন কমাতে না-পারা প্রসঙ্গে একটি বিষয়কে দায়ী করছেন ফিটনেস প্রশিক্ষক। তিনি ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে বলছেন, খাওয়ার পরে একটি ভুলেই ওজন কমানোর লক্ষ্যলাভ অধরা রয়ে যেতে পারে।
অ্যান বলছেন, ‘‘খাওয়ার পরে হাঁটাহাটি না করলে পেটের মেদ ঝরানো ১০ গুণ কঠিন হয়ে যেতে পারে। এমনকি হাঁটাহাটির অভ্যাস করলে, জিমে গিয়ে কঠিন কসরতেরও প্রয়োজন হবে না।’’
খাওয়ার পর ১০০০ পা হাঁটতে বলছেন অ্যান। তবে সংখ্যা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই হাজার পা হয়ে যাওয়ার কথা। শুধু ভুঁড়ি কমাই নয়, সামগ্রিক ভাবে মেদ ঝরাতেও সাহায্য করবে এই অভ্যাস। অ্যান জানাচ্ছেন, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট (ইনসুলিন হরমোন যাঁদের শরীরে ঠিক করে কাজ করে না) হলে বা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও হাঁটহাটি সমস্যার সমাধান করতে পারে কিছুটা।
খাওয়ার পর হাঁটার উপকারিতা
১। বদহজম, পেটফোলা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের জন্য এই পন্থা অত্যন্ত কার্যকর। ওজন কমাতেও খাওয়ার পর হাঁটা ভাল।
২। ডায়াবিটিসে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদেরও খাওয়ার পর নিয়ম করে হাঁটতে বলছেন পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকেরা। কারণ খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, হাঁটলে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
৩। রক্তচাপের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে তাঁদের পক্ষেও সুস্থ থাকা সম্ভব। অনেক সময়ে নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাসেও রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে।