পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ আধুনিক সমাজের অন্যতম বড় সমস্যা। দিল্লি, মুম্বই সহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে দূষণের মাত্রা চিন্তাজনক। শীতের শুরুতে সকালে বায়ুদূষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। আবার যাঁরা ফিটনেস সচেতন তাঁরা সকালে হাঁটতে বা দৌড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু দূষণের উপস্থিতিতে তার জন্য কোন সময়টি উপযুক্ত?
সকালে হাঁটা বা দৌড়নো
ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সময়ে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে। ফলে তখন হাঁটা বা দৌড়নো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। দূষণের মধ্যে শরীরচর্চা করলে লাভের তুলনায় স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় বেশি। কারণ বায়ুদূষণের ফলে ফুসফুসে বেশি পরিমাণ ক্ষতিকারক পদার্থ প্রবেশ করতে থাকে। তাই চিকিৎসকেদের একাংশের মতে, শীতের সকালে ৩০ মিনিটও বাড়ির বাইরে শরীরচর্চা করা ক্ষতিকারক। বিষয়টিকে ধূমপানের সঙ্গেও তুলনা করে থাকেন।
বায়ুদূষণ এবং শরীরচর্চা
যে কোনও রকম শরীরচর্চা ব্যক্তিকে ক্লান্ত করে। তার ফলে ঘাম ঝরে। ফলে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। শরীরচর্চার সময়ে তাই বেশি করে শ্বাস নিতে হয়। আর তার ফলে ফুসফুসে বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে। কিন্তু সকালে দূষণের মধ্যে শরীরচর্চার ফলে আরও বেশি মাত্রায় দূষিত পদার্থ দেহে প্রবেশ করে। তার ফলে দেহে প্রদাহ তৈরি হয়। পরিস্থিতি গুরুতর হলে ফুসফুসের কোনও সমস্যাও দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়ি়জ়) অন্যতম।
কী ভাবে সুরক্ষা
চিকিৎসকেদের দাবি, সকালে খোলা আকাশের নীচে হাঁটা বা দৌড়ের ক্ষেত্রে আগে বাতাসে দূষণের মাত্রা জেনে নেওয়া উচিত। যদি দূষণের সূচক ২০০-এর বেশি থাকে, তা হলে শরীরচর্চা না করাই ভাল। পরিবর্তে বাড়িতে বা জিমে শরীরচর্চা করা যেতে পারে।