কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটায় হরেক রকম খাওয়াদাওয়া হবে। তার মধ্যে মিষ্টি থাকবেই। এই সময়ে লোভ সংবরণ করা খুবই কঠিন। বাড়ির ছোটরা, বয়স্করা মিষ্টি দেখলে খেতে চাইবেই। আর যদি কারও ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেললেই বিপদ। তাই কেনা মিষ্টির বদলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে যদি বাড়িতেই মিষ্টি বানিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে উপকারই হবে। রইল স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানানো তিন রকম লাড্ডুর রেসিপি, যা খেলে রক্তে শর্করা বাড়বে না, কোলেস্টেরলও বশে থাকবে। ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয়ও থাকবে না।
স্বাস্থ্যকর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি রইল
খেজুরের লাড্ডু
খেজুর, রকমারি ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন লাড্ডু। বীজ ফেলে দিয়ে খেজুর মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তবে জল যত কম দেওয়া যায়, ততই ভাল। এ বার কড়াইয়ে অল্প ঘি দিয়ে তাতে কুচিয়ে রাখা কাজু, কাঠবাদাম, আখরোট নাড়াচাড়া করে নিন। যোগ করুন সামান্য নুন। বেটে নেওয়া খেজুর দিয়ে দিন। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়াচাড়া করে ঘন হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। একটু ঠান্ডা হলেই লাড্ডুর মতো করে গড়ে নিন।
আরও পড়ুন:
বেসন-কুমড়োর বীজের লাড্ডু
জোয়ান, মৌরি, পোস্ত, গোলমরিচ, কুমড়োর বীজ, মাখানা, কাজুবাদাম শুকনো তাওয়ায় ভেজে নিন। তারপর মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। এ বার ননস্টিক পাত্রে ঘি গরম করে তাতে বেসন মিশিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। বেসনের সুন্দর গন্ধ নাকে এলে তার মধ্যে বেটে রাখা মিশ্রণ, গুড়, কিশমিশ, ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিতে পাক ধরে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি থেকে লাড্ডু বানিয়ে নিন।
আপেলের লাড্ডু
দু’টি আপেল খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এ বার মিক্সিতে ভাল করে পিষে নিন। এ বার একটি প্যানে আপেলের পিউরি নিয়ে কম আঁচে গ্যাসে বসিয়ে দিন। তাতে মেশান গুড়। তবে চিনি একেবারেই দেবেন না। আপেলের মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে তাতে ছাতু মিশিয়ে ঢিমে আঁচেই নাড়তে থাকুন। ক্রমাগত নাড়তে হবে যাতে মিশ্রণ দলা পাকিয়ে না যায়। চাইলে এতে ড্রাই ফ্রুটস গুঁড়ো করে দিতে পারেন। এ বার ছোট এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে নিন। গরম থাকতে থাকতেই লাড্ডুর মতো গড়ে নিন।