গোড়ালিতে ফোস্কা খুবই সাধারণ ব্যাপার। নতুন জুতো পরে বেশি হাঁটাহাঁটি করলে গোড়ালির ত্বকে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়তে পারে। তা ছাড়া আরও কিছু কারণ আছে ফোস্কা পরার। খুব আঁটসাঁট প্যান্ট পরলে অথবা আঘাত লাগলে ত্বক চিরে গিয়ে ফোস্কা পড়তে পারে। এর সঠিক চিকিৎসা না হলে ফোস্কা ফুলেফেঁপে উঠে পুঁজ বেরোতে পারে অথবা তা থেকে ত্বকের সংক্রমণও ঘটতে পারে।
ফোস্কা সারবে কী উপায়ে?
গোড়ালিতে ফোস্কা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। ফোস্কা পরলে তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। শুধু অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে বা সেঁক দিয়ে তা না-ও সারতে পারে। সে জন্য ফোস্কা পরা জায়গাটি আগে পরিষ্কার করতে হবে। ভাল করে জায়গাটি পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। তার পর ফোস্কার উপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে দিন। এতে জায়গাটি ঠান্ডা হবে ও সেই জায়গার কোষগুলির মেরামতি হবে ধীরে ধীরে।
ফোস্কা সারানোর আরও কিছু উপায় আছে—
১) গোড়ালির যে জায়গায় ফোস্কা পরেছে সেখানে যদি যন্ত্রণা বাড়ে, ফোস্কা ফুলে ওঠে তা হলে সেখানে অ্যালো ভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালো ভেলা প্রদাহ কমাবে এবং ত্বককে আর্দ্র রাখবে। উপকার পেতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারের আগে ফোস্কার উপর অ্যালো ভেরা লাগিয়ে নিতে পারেন। তার উপরে পেট্রোলিয়াম জেলি
আরও পড়ুন:
২) ক্ষতস্থানে নারকেল তেল লাগালেও আরাম পাবেন। এতে ফোস্কার জায়গার মৃত কোষ উঠে গিয়ে জায়গাটা মসৃণ হবে। তখন জুতো গলালেও জ্বালা করবে না।
৩) ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারও ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারে তুলো ভিজিয়ে ক্ষতস্থানে হালকা হাতে চেপে লাগিয়ে রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ।
৪) ফোস্কা সারানোর আরও একটি উপায় হল টি ট্রি অয়েল। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। গোড়ালিতে অনেক সময়ে ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও ফোস্কা পড়ে, সে ক্ষেত্রে টি ট্রি অয়েল কাজে আসতে পারে।
৫) ক্ষতস্থানে মধু লাগালেও উপকার হবে। মধুর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ আছে। মধু লাগালে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।