Advertisement
E-Paper

চল্লিশেই চেহারায় বুড়োটে ছাপ, রোজের কোন কোন ভুলে যৌবন হারাচ্ছেন তাড়াতাড়ি?

রোজের কিছু অভ্যাসের কারণেই চেহারা বুড়িয়ে যাচ্ছে না তো? প্রাত্যহিক এই ভুলগুলি কমবেশি সকলেই করেন, সেগুলি কী কী?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ১৩:৪৮
রোজের কোন কোন বদভ্যাসে যৌবন ফুরিয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি?

রোজের কোন কোন বদভ্যাসে যৌবন ফুরিয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি? ছবি: ফ্রিপিক।

পেশাগত চাপ, সংসারের দায়িত্ব, সময় মতো খাওয়াদাওয়া না করা— নিয়মিত এই অনিয়ম চলতে থাকলে একটা বয়সের পর শরীরে তার ছাপ পড়েই। তবে সেই বয়সটা যদি হয় ৩৫ থেকে ৪০, তা হলে চিন্তার কারণ আছে বৈইকি। চল্লিশ পেরিয়ে চেহারায় বুড়োটে ছাপ পড়েছে, এমন মহিলা ও পুরুষের সংখ্যা অনেক। ইদানীং কালে খাওয়াদাওয়ার ধরন, জীবনযাপনে নানা অনিয়ম অকালবার্ধক্য ডেকে আনছে। চেহারায় মেদ জমছে, হরমোনের গোলমাল শুরু হচ্ছে চল্লিশ থেকেই, হাঁটতে-চলতে কষ্ট, বাতের ব্যথা কাবু করছে সহজেই। সেই সঙ্গে অকালেই বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠছে মুখে-গলায়। এই লক্ষণগুলি দেখা দিচ্ছে মানেই শঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। বার্ধক্য অনিবার্য। তবে অকালবার্ধক্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। এর কারণ হতে পারে রোজের কিছু বদভ্যাস, যা কমবেশি সকলেই করে থাকেন।

রোজের কোন কোন বদভ্যাসে যৌবন ফুরিয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি?

মেটাবলিক ডিজ়অর্ডার

প্রথমেই আসা যাক খাওয়াদাওয়ার কথায়। বাঙালি বাড়িতে একটা সময়ে থালা সাজিয়ে ভাত, ডাল, মাছ ও তরকারি খাওয়ার চল ছিল। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সমপরিমাণে শরীরে ঢোকে। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর লোভে নানা রকম ডায়েটের দিকে ঝুঁকছে। তাতে পাতে পুষ্টির পরিমাণটাই অধরা থেকে যাচ্ছে। হয় প্রোটিন ডায়েট করতে গিয়ে মাছ-মাংস বেশি খেয়ে ফেলছে, না হলে নো-কার্ব ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাত-রুটি খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে বিপদে পড়ছে। এতে যে অসুখটি হানা দিচ্ছে তার নাম ‘মেটাবলিক ডিজ়অর্ডার’। এতে কেউ শিকার হচ্ছেন অপুষ্টির, কারও দেখা দিচ্ছে স্থূলত্ব। ফলে কম বয়সেই চেহারা বুড়িয়ে যাচ্ছে।

রাতে ঘুম আসে না চোখে?

কম ঘুম, রাত জেগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে স্ক্রল করার অভ্যাস অকালবার্ধক্যের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মোবাইলের নীল আলোয় বলিরেখা পড়ছে খুব তাড়াতাড়ি। দেখা দিচ্ছে এগজ়িমার মতো চর্মরোগও। পাশাপাশি, ঘুমের সময় কমে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়ছে নানা ভাবে। হরমোন ক্ষরণে তারতম্য দেখা দিচ্ছে, ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। কম ঘুম, অনিদ্রা, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো নানা সমস্যার কথা এখন অনেকেই জানেন। সম্প্রতি শিকাগো ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, ঘুম কম হলে আনুষঙ্গিক কিছু শারীরিক সমস্যার উদয় হয়। যেমন, খিদে বেড়ে যায়, ক্লান্তি-ঝিমুনির পাশাপাশি ভাজাভুজি-মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ। ভুলে যাওয়ার সমস্যাও বাড়ে। এমনকি রাত জাগলে ইনসুলিনের কার্যকারিতাও কমে, তখনও চেহারায় মেদের প্রলেপ পড়ে।

জল কম খেলেই ক্ষতি

অকালবার্ধক্যের আরও একটা কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে জল ও খনিজ লবণের ঘাটতি হতে থাকলে, তার প্রভাব পড়বে চেহারায়। ‌ত্বক শুকিয়ে যেতে থাকবে, কুঁচকে যাবে চামড়া। শরীরের তরতাজা ও সতেজ ভাবটাই চলে যাবে।

ধূমপান করেন কি?

ধূমপানের অভ্যাস আছে? তা হলে এখনই ত্যাগ করুন সেই অভ্যাস। এতে কেবল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে না, শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে এই অভ্যাসের কারণে। অতিরিক্ত ধূমপান কোষের কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিন তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে কোষের নমনীয়তা নষ্ট হয়। এর প্রভাব পড়ে ত্বকে। চামড়া ঝুলে যায়, তাতে কালচে দাগছোপ পড়ে, বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয়।

শরীরচর্চা কি বাতিলের তালিকায়?

শারীরিত কসরত করার অভ্যাস একেবারেই না থাকলে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়বে খুব তাড়াতাড়ি। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এজিং’ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে অকালবার্ধক্য ঠেকানো যাবে। শরীরে মেদ জমবে না এবং ক্যালোরিও দ্রত ঝরবে। এর জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, স্কোয়াট, পুশ আপ, সাইক্লিং, জগিংয়ের মতো ব্যায়াম করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে প্রাণায়াম, শ্বাসের ব্যায়ামও নিয়মিত করতে হবে।

unhealthy habits Healthy Lifestyle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy