রোদে বেরোলে মাথাব্যথা, বৃষ্টিতে ভিজলে মাথায় যন্ত্রণা, অফিসে জরুরি মিটিংয়ের মাঝেও অনেক সময় মাথায় ব্যথা হতে শুরু করে। এই ব্যথা যেমন-তেমন ব্যথা নয়, যে এক বার হল আর সেরে গেল। এক বার শুরু হলে ব্যথা কমার নামই নেই। একটা গোটা দিন তো বটেই, টানা দুই থেকে তিন দিন ধরে দেখবেন মাথাব্যথা ভোগাচ্ছে। এই ধরনের মাথাব্যথা একটানা চলতে থাকলে চিকিৎসকেরা মাইগ্রেনের ব্যথা কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন। একটা সময় মনে করা হত, বয়স্করাই বুঝি এমন ব্যথায় ভোগেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কমবয়সিদের মধ্যেও মাইগ্রেনের ব্যথা দিন দিন বাড়ছে।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দৌড়ে এখন অনেক বেশি মানসিক চাপ নিয়ে ফেলছেন কমবয়সিরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল, ল্যাপটপে সময় কাটাচ্ছেন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরেও চোখ আর মনের বিশ্রাম নেই। তখনও মোবাইলে চ্যাট বা সিনেমা দেখতে ব্যস্ত। একটানা স্ক্রিনের দিকে চোখ আর মনের ভিতর পাহাড়প্রমাণ চিন্তাভাবনা, মাইগ্রেনের ব্যথাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তার উপর ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস, নেশা তো আছেই। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দূর করতে মুঠো মুঠো বেদনানাশক না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন তিনটি এসেনশিয়াল অয়েলের উপর। জেনে নিন, কোন তেল ব্যবহার করলে পাবেন উপকার?
ল্যাভেন্ডার অয়েল
মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে ল্যাভেন্ডার অয়েল বেশ কার্যকরী। মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরম জলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিন। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেই গন্ধ নিলে মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোজ়মেরি অয়েল
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে অনেক সময়ে মাথাব্যথা করে। তাই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। সেই ক্ষমতা রয়েছে রোজ়মেরি অয়েলের। সরাসরি রোজ়মেরি অয়েলের ঘ্রাণ নিতে পারেন। আবার, জলের মধ্যে দিয়ে গরম ভাপও নেওয়া যায়।
ক্যামোমাইল অয়েল
উত্তেজনা কমাতে, অনিদ্রাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ করে ক্যামোমাইল অয়েল। এর প্রদাহনাশক ক্ষমতা মাথার যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। মাথার বালিশে কয়েক ফোঁটা ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে ঘুমোতে যেতে পারেন। মাথাব্যথা বশে রাখতে এবং দু’চোখে ঘুম আনতে সাহায্য করে এই অয়েল।