‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’-এর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করছেন। ছবি: সংগৃহীত
৩১ মে আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র। এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। কিন্তু কেকে-র মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে একটা ধন্দ ছিল। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’-এর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করছেন। যা সাধারণের কাছে হার্ট অ্যাটাক নামে পরিচিত।
গোটা বিশ্বে হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ শুধু হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়িমত খাওয়াদাওয়া, মানসিক উদ্বেগের মতো কয়েকটি কারণে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কেকে অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করতেন বলেই জানতেন তাঁর প্রিয়জনেরা। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি, খাওয়াদাওয়াতেও বিধি-নিষেধ মেনে চলতেন। তা সত্ত্বেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলেন কী করে, তা যথেষ্ট ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ধূমপানের প্রবণতা এবং স্থূলতা। এ ছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী কোনও মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে তাই জীবনযাপনে আনতে হবে কিছু বদল।
হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা এড়াতে কী কী মেনে চলবেন?
১) ধূমপান, মদ্যপান এবং অতি অবশ্যই নুন খাওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
২) প্রতি দিন অন্তত ৪৫ মিনিট শারীরচর্চা, ব্যায়াম করা জরুরি।
৩) রেড মিট, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বদলে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
৪) বাদাম, ফল, মাছ, শাকসব্জি মুরগির মাংসের মতো খাবার বেশি করে খান।
৫) ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। সমস্যাগুলি যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়া ছাড়াও ‘অ্যারিথমিয়াস’ বা ‘জেনেটিক অ্যারিথমিয়াস’এবং ‘হাইপারট্রফিক কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’-র কারণে মৃত্যু হতে পারে। হৃদ্যন্ত্র মোটা হয়ে গেলে ধমনিতে রক্তপ্রবাহ বাধা পেয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy