রোজের আরও একটি অভ্যাস বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়, তা হল ধূমপান। প্রতীকী ছবি।
ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ছে বন্ধ্যত্বের সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যেই রয়েছে জীবনযাত্রায় অনিয়ম। খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ— এ সবের প্রকোপেই এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
রোজের আরও একটি অভ্যাস বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়, তা হল ধূমপান। চিকিৎসকদের মতে, পুরুষ ও নারী উভয়ের শরীরেই ধূমপান এমন কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা সন্তানধারণের ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারে প্রতিবন্ধক। পুরুষদের ক্ষেত্রে ধূমপান ডেকে আনতে পারে লিঙ্গ শিথিলতার মতো সমস্যা। এমনকি, দীর্ঘ দিন ধূমপান করলে স্থায়ী ভাবে কমে যেতে পারে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য। যৌন উত্তেজনার সময়ে লিঙ্গের দৃঢ়তার কারণ হল পুরুষাঙ্গে রক্তসঞ্চালন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপানের ফলে রক্তনালীর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান জমে যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে আর্থেরোস্ক্লেরোসিস বলে। এই রোগ যেমন স্ট্রোক বা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনই এর ফলে পুরুষাঙ্গে রক্তসঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে দৃঢ় হয় না লিঙ্গ। পাশাপাশি, নিকোটিন রক্তনালীগুলিকে সঙ্কুচিত করে। আর এই ক্ষতি যে হেতু স্থায়ী, তাই নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস লিঙ্গের দৈর্ঘ্য হ্রাস পাওয়ার সমস্যাও স্থায়ী।
এ ছাড়াও ধূমপান নানা ভাবে ক্ষতি করে যৌনস্বাস্থ্যের। জেনে নিন কী ভাবে।
১) নিয়মিত ধূমপানের ফলে বীর্য উৎপাদনের সময়ে প্রদাহ দেখা দিতে পারে, ফলে শুক্রাণু দুর্বল হয়।
২) বিড়ি বা সিগারেটে ‘কারসিনোজেন’ ও ‘মিউটাজেনিক’ পদার্থ থাকে, যা শুক্রাণুর ক্ষতি করে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, এই পদার্থগুলি জিনগত ভাবেও শুক্রাণুর ক্ষতি করে।
৩) ধূমপানের ফলে শরীরে ক্যাডমিয়াম ও জিঙ্কের মতো ক্ষতিকর ধাতু প্রবেশ করে। এই ধাতুগুলি শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
৪) চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের লিঙ্গ শিথিলতার আশঙ্কা, ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তির তুলনায় দ্বিগুণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy