(বাঁ দিকে) দোলন রায়, দীপঙ্কর দে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বুধবার রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে-র বড় মেয়ে বৈশালী কুরিয়াকোসের। ৫২ বছর বয়সে কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পাঁচ মাস আগে ৪৭ বছর বয়সি অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনেরও হার্ট অ্যাটাক হয়। সেই সময় অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয় সুস্মিতার শরীরে। বিপদ কাটিয়ে এখন ফিট সুস্মিতা। তবে সংবাদমাধ্যমে নজর রাখলেই চোখে পড়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর। বয়স ২০ হোক কিংবা ৮০— হৃদ্রোগের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই।
আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক অনিয়মের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে হৃদ্রোগীদের সংখ্যা। রেস্তরাঁর খাবার, দেদার মদ্যপান, রান্নায় তেলমশলার আধিক্য— এ সবের কারণে শরীরে জমছে মেদ, সঙ্গে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। শরীরচর্চা করেও রেহাই মিলছে না হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে। সম্প্রতি হার্ট অ্যাটাকের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ৩৩ বছরের এক ফিটনেস প্রভাবীরও।
অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক উপসর্গগুলি বুঝে ওঠার আগেই হয়ে যায় ব্যাপক ক্ষতি। কখনও কখনও কোনও রকম আগাম বার্তা না দিয়েই হানা দেয় হার্ট অ্যাটাক। ফলে বিপদের আগাম আঁচ পাওয়া যায় না। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছু উপসর্গ দেখা দিলে যদি আগে থেকেই সচেতন হওয়া যায়, তবে হার্ট অ্যাটাক রুখে দেওয়া সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথার চেয়েও বেশি চাপ অনুভব করেন মানুষ। অনেক সময় সেই চাপকে গ্যাস ভেবে ভুল করেন মানুষ। সতর্ক থাকতে হবে, বুক, ঘাড়, চোয়াল বা তলপেটে কোনও চাপ আসছে কি না। বুকে বেল্ট বেঁধে ক্রমে তা চেপে দেওয়া হচ্ছে— এমন কোনও অনুভব হলে দ্রুত সতর্ক হোন। শুধু বুক নয়, বাঁ হাত, ঘাড়, এমনকি ডান হাতেও একটানা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বুকে চাপের সঙ্গে ঘাম হলেও সচেতন হোন। এই সময় রক্ত সঞ্চালনে হৃৎপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে। এমন উপসর্গ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অ্যাটাকের সময় কী করণীয়
চিকিৎসকদের মতে, এমন উপসর্গ দেখলে একেবারেই দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। রোগীকে শুইয়ে দিতে হবে। ঘাড়ে জল দিতে হবে। হাতের কাছে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থাকলে ১৫০ মিলিগ্রামের দু’টি ট্যাবলেট খাইয়ে দিতে পারলে ভাল। জিভের তলায় সরবিট্রেটও রাখা যেতে পারে। এত কিছুর সঙ্গে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করুন। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে ততই এই বিপদ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
বৈশালী দীপঙ্করের দ্বিতীয় স্ত্রী দোলন রায়ের থেকে মাত্র এক বছরের ছোট। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী দোলন বলেন, “মেয়ে চলে গিয়েছে। এ অবস্থায় কোনও বাবা কি ঠিক থাকতে পারেন? খুবই ভেঙে পড়েছেন উনি। আমরা গিয়েছিলাম। এ পরিস্থিতিতে আমি ওর পাশে থাকব না, এটা কি কখনও হয়! কিন্তু শুটিং থেকে ছুটি পাইনি। তাই কাজে বেরিয়েছি। তবে টিটো খুবই ভেঙে পড়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy