Advertisement
E-Paper

দীর্ঘ সময়ের সফরে সঙ্গে রাখুন একটি টেনিস বল! কী কী উপকারে লাগতে পারে জানেন?

কারও কোমর ধরে যায়। তো কারও পিঠে-ঘাড়ে ব্যথা হয়। বিশেষ করে প্লেন, বাস বা ট্রেন সফরে যেহেতু চাইলেও হেঁটে চলে বেড়ানোর তেমন সুযোগ নেই, তাই নানা কারণে এমন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে একটি টেনিস বল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:০৬

ছবি : সংগৃহীত।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হবে এমন সফরে বেরোলে অনেক সময়েই শরীরে নানা রকমের ব্যথা বেদনা দেখা দেয়। কারও কোমর ধরে যায়। তো কারও পিঠে-ঘাড়ে ব্যথা হয়। বিশেষ করে প্লেন, বাস বা ট্রেন সফরে যেহেতু চাইলেও হেঁটে চলে বেড়ানোর তেমন সুযোগ নেই, তাই নানা কারণে এমন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে একটি টেনিস বল। ওই বল মূলত সেলফ-মাসাজ বা নিজের পেশিকে আরাম দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায়। যার জন্য খুব বেশি কসরত করার দরকার নেই। আবার ব্যাগে নেওয়ার জন্য খুব বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। ব্যথা-বেদনা কমাতে কাজও করে ভাল।

১. রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে

দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে পায়ের রক্ত চলাচল ধীর হয়ে যায়, যা থেকে ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ বা পা ফোলার মতো সমস্যা হতে পারে। পায়ের তলায় টেনিস বল রেখে সেটি এদিক-ওদিক গড়ালে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

ব্যবহারের পদ্ধতি: জুতো খুলে টেনিস বলটি পায়ের পাতার নিচে রাখুন। এবার গোড়ালি থেকে আঙুল পর্যন্ত বলটি রোল করুন।

২. পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমানো

সিটে বসে থাকতে থাকতে পিঠের উপর এবং নিচের অংশে, ঘাড়ের নীচে বা মেরুদণ্ডের দুই পাশে যে খিঁচুনি বা ব্যথা হয়, সেখানে টেনিস বল রেখে হালকা চাপ দিলে পেশি শিথিল হয়। এটি একটি মিনি ‘মাসাজ চেয়ার’-এর মতো কাজ করে।

ব্যবহারের পদ্ধতি: সিট এবং আপনার কাঁধ বা ঘাড় বা পিঠের মাঝখানে বলটি রাখুন। শরীর হালকা নাড়াচাড়া করে বলের সাহায্যে মাসাজ করুন।

৩. পেশির ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ রিলিজ

শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় যেমন কাঁধ, নিতম্বের পেশি বা পিঠে ব্যথার উৎস বা ‘নট’ তৈরি হয়। টেনিস বলটি সেই পয়েন্টে চেপে ধরে রাখলে পেশির জড়তা কেটে যায় এবং আরাম বোধ হয়।

ব্যবহারের পদ্ধতি: সিটের পেছনের দিকে কোমরের যে অংশে ব্যথা হচ্ছে, সেখানে বলটি রেখে শরীরের ভার দিয়ে বা হাত দিয়ে চাপ দিন।

কেন টেনিস বল উপযুক্ত?

এটি ওজনে হালকা এবং ব্যাগে জায়গা কম নেয়। ওপরের বা বাইরের দিকের অংশটি নরম হওয়ায় সরাসরি হাড়ের ওপর লাগলে আঘাতের ভয় থাকে না। অথচ পেশির গভীর পর্যন্ত চাপ সৃষ্টি করতেও পারে।

long journey tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy