কান পরিষ্কারের জন্য বাড ব্যবহারের অভ্যাস রয়েছে? কখনও ময়লা বার করা, কখনও বা আরাম পাওয়া— নানা কারণে বাড দিয়ে কান খোঁচাকে ভালবাসেন অনেকে। কিন্তু এই অভ্যাসই কিন্তু বিপদ ডেকে আনছে। কর্ণকুহরে বাডের মতো বস্তু প্রবেশ করালে উপকারের বদলে অপকার বেশি হয়। বাডের প্যাকেটের বাইরে কিছু সংস্থার তরফে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও থাকে, তার পরেও কান খোঁচানো থেকে বিরত থাকেন না অধিকাংশ। এমস প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, আমেরিকানিবাসী ভারতীয় গ্যাস্ট্রোন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেট্টি সে বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো করে সতর্ক করলেন।
কানের যত্ন মানেই অনেকের মনে হয়, ভিতরের ইয়ারওয়্যাক্স পরিষ্কার করা দরকার। কিন্তু চিকিৎসকেরর মতে, বাড দিয়ে কানের ভিতরে খোঁচাখুঁচি করা একেবারেই খারাপ অভ্যাস। এটিই কানের ক্ষতি শুরুর প্রথম ধাপ।
সৌরভের কথায়, ‘‘আপনার যে মনে হচ্ছে, বাড ব্যবহার করলেই কান পরিষ্কার হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। আসলে খোঁচানোর ফলে ইয়ারওয়্যাক্স কর্ণকূহরের আরও ভিতরে ঠেলে দিচ্ছেন। এতে কানের পথ বন্ধ হতে পারে, শুনতে অসুবিধা হতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এমনকি, কানের পর্দার পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। এখান থেকেই কানে ব্যথাও শুরু হয়।’’
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকের মতে, ইয়ারওয়াক্স আসলে কানকে সুরক্ষা দেয়। এটি কোনও ময়লা নয়। এটি কানের ভিতর ধুলো, ব্যাক্টেরিয়া এবং জল আটকানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শরীর নিজেই ধীরে ধীরে এটিকে বাইরে ঠেলে দেয়। তাই নিয়মিত ইয়ারওয়াক্স পরিষ্কার করার দরকার নেই। কান আসলে নিজে নিজেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কানের আঘাত পাওয়ার ঘটনার মধ্যে ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই কটন বাডই দায়ী।’’
তবে কানে যত্ন নেওয়ার কয়েকটি পন্থা জেনে নিন—
· প্রতি দিন স্নানের পর শুধু কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার তুলো বা কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
· কানে জল ঢুকলে মাথা কাত করে জল বার করে নিন। তার পর শুকিয়ে নিন।
· কানের ভিতরে বাড, আঙুল, পিন বা অন্য কিছু ঢোকাবেন না।
· যদি কানে ব্যথা, ভারী লাগা বা শুনতে সমস্যা হয়, তৎক্ষণাৎ কানের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।