হজমের সুবিধা তো আছেই, তার সঙ্গে কফ-কাশির সমস্যা থাকলেও জোয়ান খেতে বলা হয়। ছবি: সংগৃহীত
খাওয়ার শেষে মুখশুদ্ধি হিসাবে জোয়ান অনেকেই খেয়ে থাকেন। পেটের গন্ডগোল কিংবা অম্বলের সমস্যায় জোয়ানেই মেলে উপশম। একটু জোয়ান চিবিয়ে নিয়ে জল খেলেই পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। হজমের সুবিধা তো আছেই, তার সঙ্গে কফ-কাশির সমস্যা থাকলেও জোয়ান খেতে বলা হয়। তা ছাড়াও ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা উপশমেও এটি দারুণ উপকারী।
তাই বলে মুঠো মুঠো জোয়ান খেতে শুরু করলে মুশকিল! অনেকেই অভ্যাসবশত কাজের মাঝে মাঝে অকারণেই জোয়ান খেতে থাকেন দিনভর। এ অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
অত্যধিক মাত্রায় জোয়ান খেলে কী হয়?
১) বদহজমের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে: অত্যধিক মাত্রায় জোয়ান খেলে শরীরে অ্যাসিডিটির মাত্রা বাড়তে থাকে। তার পাশাপাশি পেট খারাপ, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, বদহজমের সমস্যা শুরু হয়।
২) লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে: বেশি জোয়ান খেলে লিভারের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। যাঁরা লিভারের রোগে আক্রান্ত তাঁদের জন্য জোয়ান না খাওয়াই ভাল। এ ক্ষেত্রে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি থাকে।
৩) মুখে আলসার হতে পারে: সারা ক্ষণ ধরে মুখে জোয়ান রাখলে মুখে ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মুখে আলসারও হতে পারে।
৪) ত্বকে সংক্রমণ: অতিরিক্ত জোয়ান খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গরমে খুব বেশি জোয়ান খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে পেট গরম হয়ে ত্বকে র্যাশ, অ্যালার্জিও হতে পারে।
৫) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাবেন না: অতিরিক্ত জোয়ান খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাই খুব বেশি জোয়ান না খাওয়াই ভাল। নইলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
৬) অস্ত্রোপচারের সময় এড়িয়ে চলুন: জোয়ান খেলে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। তাই যে কোনও ধরনের অস্ত্রোপচারের আগে রোজের খাদ্যতালিকায় জোয়ান না রাখাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy