ওজন কমানোর ওষুধ নিয়ে নানা দিকেই চর্চা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই নতুন একটি ওষুধও দেশের বাজারে এসেছে। তা ছাড়া ওজ়েম্পিক নিয়ে তো দিকে দিকে আলোচনার শেষ নেই। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— অনেকেরই দাবি, ওজ়েম্পিক খেলে নাকি ওজন দ্রুত কমে। আরও একটি ওষুধ দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যার নাম মাইনজেরো। এই ওষুধটি আবার ডায়াবিটিসের চিকিৎসাতেও কাজে লাগে। তবে চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলছেন, ওজন কমানোর ওষুধের নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। তার মধ্যে মাউনজেরো ওষুধটি বেশি পরিমাণে খেলে বা ডোজ় না জেনে খেলে, তার থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়তে পারে।
মাউনজেরো মূলত ডায়াবিটিসের ওষুধ। জিআইপি ও জিএলপি-১ নামক দু’টি হরমোনকে সক্রিয় করে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। বহু দিন ধরে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করা হত মাউনজেরো। কিন্তু পরে এর উপাদানে নানা বদল এনে স্থূলতা কমাতেও এটির প্রয়োগ করার চেষ্টা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। বহু মানুষের উপর পরীক্ষা করে সাফল্যও পাওয়া যায় বলে দাবি। নির্মাতা সংস্থা এলি লিলির তরফে জানানো হয়েছিল, ওষুধটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নিতে হবে। যাঁদের স্থূলতা রয়েছে অর্থাৎ বডি-মাস-ইনডেস্ক (বিএমআই) ৩০ বা তার বেশি তাঁরাই নিতে পারবেন এই ওষুধটি। তবে নির্দিষ্ট ডোজ়েই নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
পাবমেড থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের ওষুধ বেশি খেলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি, খাবার হজমে সমস্যা দেখা দেবে। ওজন কমানোর ওষুধ যেহেতু খিদে কমিয়ে দেয়, তাই বিপাকহারে বদল আসবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়বে। শুধু তাই নয়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পেটের গোলমাল, ঘন ঘন বদহজম, অম্বলের সমস্যাও বাড়বে।
হাড়ের প্রধান উপাদান ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। এ ছাড়াও আছে নানা ধরনের খনিজ। বিভিন্ন কারণে ক্যালশিয়াম- সহ হাড়ের অন্যান্য উপাদান কমে গেলে হাড় পলকা হয়ে যায়, ফলে সামান্য চোট- আঘাতে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। একেই বলে অস্টিয়োপোরোসিস। ওজন কমানোর ওষুধ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। ফলে হাড়ের ঘনত্বও কমবে। সেই থেকে বাতের ব্যথাবেদনাও বাড়তে পারে।