গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে কি না বুঝবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক
গ্লুটেনে অ্যালার্জি খুব সাধারণ সমস্যা হলেও অধিকাংশ সময়েই তা বোঝা যায় না। গম, বার্লি ও বেশ কিছু দানাশস্য, বাদাম, এমনকি কিছু লিপস্টিক, শ্যাম্পু থেকেও হতে পারে গ্লুটেন অ্যালার্জি।
অনেক খাবারই অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। আপনার কোন খাবার খেয়ে অ্যালার্জি হচ্ছে, তা বোঝা মুশকিল। অনেকের গ্লুটেনজাতীয় খাবারে অ্যালার্জি হয়। গ্লুটেন এক ধরনের প্রোটিন, যেটা মূলত গম, রাই, বার্লিতে থাকে। এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এই সব খাবারে, যা খাবারটিকে বেক করার সময়ে ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপ্স, সস, বিয়ারে গ্লুটেন থাকে। জেনে নিন গ্লুটেন অ্যালার্জির কিছু সাধারণ লক্ষণ।
১) হজমে গোলমাল: গ্লুটেন অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণ হল আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম। তবে প্রথমেই এই সমস্যা হবে না। গ্লুটেনযুক্ত খাবার খাওয়ার পর পেট ফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। সেখান থেকেই সমস্যা বাড়তে বাড়তে আইবিএস হতে পারে।
২) গাঁটে ব্যথা: আঙুল ও হাঁটুর গাঁট ফুলে ওঠা, অসহ্য যন্ত্রণা গ্লুটেন অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে।
৩) র্যাশ: সারা গায়ে লাল লাল দাগ হওয়ার এই সমস্যাকে বলা হয় কেরাটোসিস পিলারিস। গ্লুটেনযুক্ত খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকে এই ধরনের দাগ দেখা দেয়। তবে অন্যান্য র্যাশের মতো চুলকায় না। শরীরে ফ্যাট ও ভিটামিন ঠিক মতো শোষিত না হওয়ার ফলে এই ধরনের র্যাশ দেখা যায়।
৪) ক্লান্তি: আপনি কি খাওয়ার পরই খুব ক্লান্ত বোধ করেন? যদি আপনার শরীর গ্লুটেনের প্রতি সংবেদনশীল হয়, তা হলে খাবার থেকে প্রোটিন শরীরে ঠিক মতো শোষিত হয় না। এর ফলে মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, কোনও অংশেই ঠিক মতো পুষ্টি পৌঁছয় না। ক্লান্তি গ্রাস করে।
৫) মাথা যন্ত্রণা: ২০০১ সালে নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গ্লুটেন শরীরে সহ্য না হলে মাইগ্রেন, অতিরিক্ত মাথা যন্ত্রণার সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে প্রদাহের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy