কড়া ডায়েট করলেও শরীরে ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা থেকে সন্তানধারণ করা— সব কিছুতেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। প্রজননের সঙ্গে এই হরমোনের যোগ থাকলেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও এই হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রজনন ছাড়াও হার্ট এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও ইস্ট্রোজেন হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঋতুবন্ধের পর মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই এই হরমোনের অভাব দেখা যায়। যার ফলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
ইস্ট্রোজেনকে বলা হয় নারী হরমোন। নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরেই এই হরমোন থাকলেও নারীদের প্রজনন বয়সে এটি উচ্চমাত্রায় থাকে। নারী শরীরের যৌন চাহিদা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ইস্ট্রোজেন হরমোন। নারীর বাহুমূলের রোম, স্তনের আকার, এবং ঋতুস্রাবের মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি এটি প্রজননতন্ত্র গঠন ও নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা নেয় এই হরমোন।
কেবল ঋতুবন্ধের সময়েই নয়, অন্যান্য সময়েও শরীরে এই হরমোনের ঘাটতি দেখা যায়।
কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
১) ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি হলে যোনি শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে মিলনের সময় যন্ত্রণা হতে পারে।
২) ঘন ঘন মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে সতর্ক হন।
৩) ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়া।
৪) অকারণ মেজাজ বিগড়ে যাওয়া।
৫) স্তন নরম হয়ে যাওয়া।
৬) মাথা ব্যথা কিংবা মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
৭) মাথা ঘোরানো, জ্ঞান হারিয়ে ফেলাও হতে পারে শরীরে ইস্ট্রোজেন ঘাটতির লক্ষণ।
কোন কোন কারণে শরীরে ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি হয়?
১) অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি হয়।
২) পিটুইটারি গ্রন্থির কার্যকারিতা কমে গেলে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণের উপর প্রভাব পড়ে।
৩) দীর্ঘমেয়াদী কিডনির কোনও অসুখ হলে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
৪) টার্নার সিন্ড্রমের হলে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ কমতে পারে।
৫) কড়া ডায়েট করলেও শরীরে ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি হতে পারে
৬) ডিম্বাশয়ে সিস্ট হলেও শরীরে ইস্ট্রোজেন কমে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy