Advertisement
E-Paper

ব্যক্তিগত সময় মানে কি একান্তে মোবাইল ঘাঁটা? তাতে কি আদৌ মন ভাল থাকে?

মহিলা হোক বা পুরুষ— সকলেরই কাজের মধ্যে থেকে নিজেদের জন্য সময় বার করে নিতে হয়। সার্বিক ভাবে ভাল থাকার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তার জন্য প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত সময় কাটানো জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৫
Image of Mental Health.

— প্রতীকী চিত্র।

ঘরে-বাইরের সমস্ত কাজ সামাল দেওয়ার পর নিজের জন্য আলাদ করে আর কিছু করার অবকাশ থাকে না। কাজ থেকে ফিরে রান্নাবান্না করা, পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখা, সন্তানের দেখাশোনা করা— সবই করেন একা হাতে। তার পর যখন শুতে যান, তখন আর নিজের সময় বলতে কিছুই থাকে না। অথচ কাজ, পরিবারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব পালন করার পর, ‘আমাদের’ সময় থেকে নিজের জন্য সময় বার করা খুব কষ্টকর। শরীরের পাশাপাশি মনের যত্ন নেওয়া জরুরি, সে কথা জানেন। কিন্তু অনেকেই বোঝেন না কী ভাবে যত্ন নিতে হয়।

মনোবিদেরা বলেন, মহিলা হোক বা পুরুষ— সকলেরই কাজের মধ্যে থেকে নিজেদের জন্য সময় বার করে নিতে হয়। সার্বিক ভাবে ভাল থাকার ভিত্তিই হল মানসিক সুস্বাস্থ্য। তার জন্য নিজের শখ-শৌখিনতা বজায় রাখা, নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। তবে নিজেকে সময় দেওয়ার মানে কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ করে সারা দিন, শুয়ে শুয়ে সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো নয়। ব্যক্তিগত পরিসর এমন একটি সময়, যেখানে কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারেন। যে কাজগুলি করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু তা কারও জন্য নয়। মন ভাল রাখতে ‘মি টাইম’ কী ভাবে সাহায্য করে?

১) আবেগ নিয়ন্ত্রণ

নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার শ্রেষ্ঠ উপায় হল নিজেকে সময় দেওয়া। অবশ্যই পেশাদার মনোবিদের সাহায্য নিতে পারেন। তবে নিজের সঙ্গে সময় কাটিয়ে যদি চিন্তা-ভাবনাগুলি আগে থেকে গুছিয়ে নিতে পারেন, তা হলে অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। নিজেই নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে পারবেন।

২) গোপনীয়তা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যক্তিগত পরিসর লঙ্ঘিত হওয়ায় অনেকের মনেই উদ্বেগ, নিরাপত্তাহীনতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। যা থেকে পরবর্তীকালে মানসিক সমস্যা বাড়তে পারে। অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানের বা স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, প্রত্যেকের জীবনেই ব্যক্তিগত পরিসর থাকা জরুরি।

৩) মানসিক উন্নতি

নিজের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে, আত্মবিশ্বাস মজবুত করতেও প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বা ব্যক্তিগত পরিসর থাকা জরুরি।

Mental Health Personal Space
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy