স্বাদে হালকা টক। দেখতেও খানিক ভিন্ন। সাধারণ পাউরুটির থেকে অনেকাংশেই আলাদা ‘সাওয়ারডো ব্রেড’। নামেই আছে ‘সাওয়ার’, বাংলায় যার অর্থ ‘টক’। গুণাবলিতেও নানাবিধ পার্থক্য রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, সাওয়ারডো পাউরুটি সাধারণ পাউরুটির থেকে বেশি স্বাস্থ্যকর। কলকাতা শহরেও একাধিক বেকারিতে এই পাউরুটি পাওয়া যায়। তবে পাড়ার দোকানে সহজলভ্য নয়। কিন্তু অনেকেই সাধারণ পাউরুটির বদলে এই পাউরুটিতে নতুন করে মজেছেন। ‘নতুন’ বলার কারণ, সাওয়ারডো পাউরুটি আদপে নতুন আবিষ্কার নয়। বরং বহু প্রাচীন। পশ্চিমি দুনিয়ায় মধ্যযুগ পর্যন্ত সাওয়ারডো পাউরুটিই বানানো হত। তবে ফের সেই পাউরুটির কাছেই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু কেন?
হালকা টক টক এই পাউরুটির গুণাবলি অনেক। প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন ইস্ট এবং ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার সাহায্যে মজিয়ে প্রক্রিয়ায় ময়দার মণ্ডটি তৈরি হয়। মজানোর প্রক্রিয়ায় ল্যাক্টিক অ্যাসিড তৈরি হয় বলেই টক স্বাদ আসে পাউরুটিতে। ফলে এর গুণমান উন্নত হয়।
মজানোর এই পদ্ধতি পাউরুটির পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাহায্য করে। আর এখন যেহেতু স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার প্রচলন বেড়েছে, তাই সাধারণ পাউরুটি ছেড়ে লোকে এই পাউরুটি খেতে শুরু করেছেন নানা দেশে।
হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি: সাওয়ারডো তৈরির জন্য যে মজানোর প্রক্রিয়ায় ভরসা করা হয়, সেটির কারণে এতে প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকস-এর মতো উপাদান গঠিত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এর ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে এই পাউরুটি।
গ্লুটেন হজম: যদিও সাওয়ারডো সম্পূর্ণ গ্লুটেনমুক্ত নয়, তবে ধীরে মজানোর ফলে গ্লুটেন আংশিক ভাবে ভেঙে যায়। তাই সেটি হজম করা খানিক সহজ।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর: মজানোর ফলে এই পাউরুটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা শারীরিক নানা জটিলতার সঙ্গে লড়াই করতে পারে। হার্টের রোগ বা ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: সাওয়ারডো-র গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে শর্করার দ্রুত ওঠানামা কম হয়। ফলে এটি শর্করা নিয়ন্ত্রণে উপযোগী।