ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল ছিল। তবে বছর শেষে গোটা দেশের করোনার লেখচিত্র বেশ ঊর্ধ্বমুখী। বাদ যায়নি এই রাজ্যও। শুধু করোনা নয়, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই করোনা উপসর্গহীন। কম উপসর্গ বা উপসর্গহীন রোগীরা স্বাস্থ্যদফতরের নির্দেশ অনুযায়ী বাড়িতেই থাকছেন। অর্থাৎ নিভৃতবাসে রয়েছেন। এই সময় দ্রুত সেরে উঠতে পর্যাপ্ত পরির্মণে খাওয়া দাওয়া করাটা জরুরি। জেনে নিন করোনা আক্রান্ত হয়ে নিভৃতবাসে থাকাকালীন কোনগুলি খাবেন, কোনগুলি নয়।
১) এই সময় চিনি একেবারে বাদ দিন খাবার থেকে। মিষ্টির বিকল্প হিসাবে খেজুর খেতে পারেন। মরসুমি ফল খান প্রচুর পরিমাণে।
২) নুন খেলেও দৈনিক তা ৫ গ্রামের বেশি খাবেন না। নুনে আছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এই সময় রক্তে যেহেতু অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকে, সেহেতু নুন উচ্চরক্তচাপের মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে।
৩) দিনে দু'বারের বেশি চা খাবেন না। বেশি বার চা খেলে শরীরে জলের অভাব ঘটে। সাধারণ চায়ের বদলে ভরসা রাখতে পারেষ গ্রিন টি-র উপরে।
৪) রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকুক দুধ। দুধে অরুচি থাকলে অবশ্যই টক দই খান। দুধ, দই ইত্যাদি প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার শরীরে থাকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
৫) এই সময় পিএইচ যুক্ত খাবার বেশি করে খান। শরীরের পিএইচ এর মাত্রা কম থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মুসুম্বি, পাতিলেবু, পাকা পেঁপে, আমন্ড, আনারসে আছে প্রচুর পরিমাণে পিএইচ।
৬) আদা-রসুন-পেঁয়াজ-হলুদ এই সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। পেঁয়াজে আছে ভিটামিন সি, সালফার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম। রসুনে আছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম। আদায় আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই চারটি আনাজ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
যেগুলি একেবারেই খাবেন না
১) বাসি কোনও খাবার এই সময় ভুলেও খাবেন না। সব সময় গরম খাবার খাওয়াই ভাল। খাওয়ার আগে খাবারটি গরম করে নিয়ে তবেই খান।
২) নিভৃতবাসে থাকাকালীন ফ্রিজের খাবার একদম নয়। শরীরের আর ফ্রিজের তাপমাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই দুই ধরনের তাপমাত্রা শরীরে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়াকে আরও সক্রিয় করে তোলে।
৩) এই কয়েকটি দিন কোনও বাহারি রান্না নয়। তেল-ঝাল-মশলাদার রান্না সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। আধসিদ্ধ নয়, পুরোপুরি রান্না করা খাবার খান এই সময়।
৪) করোনা আক্রান্ত হলে অ্যালকোহল সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে চলুন। এই সময় যে ওষুধগুলি চলছে, অ্যালকোহল তার গুণাগুণ নষ্ট করে দিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করতে দেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy