দিনের অধিকাংশ সময় অফিসের ডেস্কে বসেই কেটে যায়। আর সে সময়ে পেটের চেয়ে চোখের খিদের দাপট বেশি দেখা যায়। সারা ক্ষণই মুখ চালাতে ইচ্ছে করে। তখন কি হাতের কাছে চিপ্স, ভেলপুরি, আলু কাবলি বা ঝুরিভাজা দিয়ে পেট ভরান? অফিসে খিদে পেলে কী খাচ্ছেন, তার উপরই নির্ভর করছে, স্বাস্থ্যের অবনতি হতে চলেছে না কি উন্নতি, ওজন বাড়তে চলেছে না কি কমছে, হজমের সমস্যা তীব্র হচ্ছে না কি হ্রাস পাচ্ছে।
অফিসে থাকাকালীন আবার পেট খালি রাখাও ঠিক নয়। কারণ ঠিকঠাক খাবার খেলে কাজে জোর পাওয়া যায়, মাথা ভাল কাজ করে, ওজন আর বিপাক ঠিক থাকে, গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা কমে যায়। তা হলে অফিসে সারা দিন কী কী খাওয়া উচিত? বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্ডো নিজের স্ন্যাক্সের তালিকা প্রকাশ করলেন ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে।
পুষ্টিবিদ কোন কোন খাবার স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে বলছেন?
ডার্ক চকোলেট: এমন ডার্ক চকোলেট বেছে নেন রায়ান, যাতে বিন্দুমাত্র চিনি যোগ করা নেই এবং যা ৭০ শতাংশের বেশি কোকো দিয়ে তৈরি। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ম্যাগনেশিয়াম মস্তিষ্কের উত্তেজনা প্রশমিত করে। ৩টি টুকরো খেলেই যথেষ্ট, বলছেন পুষ্টিবিদ।
ডার্ক চকোলেট। ছবি: সংগৃহীত।
বাদাম: শুকনো ফল যেমন, খেজুর, বাদাম অথবা বীজ ভর্তি থাকে রায়ানের ডেস্কে। চিনি বা প্রিজ়ারভেটিভ ছাড়া এই খাবারগুলি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ। ২-৩টি খেজুর, মুঠোভর্তি বাদাম ও বীজ খেলে চটজলদি শরীরে শক্তিবৃদ্ধি পায়।
মাখানা: মুচমুচে খাবার খেতে ইচ্ছে করলে সে চাহিদা মেটায় মাখানা। এতে ভরপুর রয়েছে প্রোটিন ও নানাবিধ পুষ্টি উপাদান। রায়ান সাধারণত ৫০ গ্রাম মাখানা ঘি বা অলিভ অয়েলে সাঁতলে নিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। পেট ভরা থাকে, অথচ ভার হয় না।
মাখানা। ছবি: সংগৃহীত।
বেদানার রস ও পেয়ারা: প্রতি দিন এক গ্লাস করে বেদানার রস পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ। সঙ্গে একটি পেয়ারা। ভিটামিন সি পরিপূর্ণ ফল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। উপরন্তু বেদানা খেলে ধমনীতে জমে থাকা চর্বি গলে যেতে পারে।
এ ছাড়াও তিলের নাড়ু, বাদাম চিকি, বেক করা চিপ্স, চিনি ছা়ড়া ব্রাউনি বা বাড়িতে বানানো কুকি খাওয়ায় বাধা নেই। একঘেয়েমি কাটাতে একটির পরিবর্তে অন্য খাবার খাওয়া যেতে পারে, এমনই বলছেন রায়ান।