কারও কারও দুর্ভাগ্য, অন্যদের তুলনায় বেশি মশা কামড়ায় তাঁদের। —ফাইল চিত্র
রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছুঁইছুঁই। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এই অবস্থায় বারান্দায় বসে কথা বলতে গিয়ে কিংবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে একটি মাত্র মশার কামড়েও আঁতকে উঠছে মন। এই বুঝি ডেঙ্গি হল! কারও কারও আবার দুর্ভাগ্য, অন্যদের তুলনায় বেশি মশা কামড়ায় তাঁদের। ফলে তাঁদের ভয় আরও বেড়ে যায়। কিন্তু কেন কাউকে বেশি আর কাউকে কম কামড়ায় মশা?
১। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। ২০১৪ সালের একটি গবেষণা বলছে, যাঁদের বেশি ঘাম হয়, মশা বেশি কামড়ায় তাঁদের। গবেষকদের দাবি, ঘামের সঙ্গে বেরোনো ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়ার গন্ধ মশাদের বেশ প্রিয়। তাই মশার কামড় প্রতিরোধ করতে চাইলে ঘাম যত কম হয়, ততই মঙ্গল।
২। মশার নিশানায় বেশি থাকেন অন্তঃসত্ত্বারাও। কারণ, নারীদেহ থেকে নির্গত ইস্ট্রোজেন হরমোনের গন্ধে নাকি আকৃষ্ট হয় মশা।
৩। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, যাঁদের দেহ থেকে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসৃত হয়, তাঁদের বেশি মশা কামড়ায়। মশার মস্তিষ্কে সিপিএ নামের এক প্রকার কোষ থাকে যা কার্বন ডাই-অক্সাইড চিনতে পারে। তাই প্রাণীদেহ থেকে নিঃসৃত এই গ্যাস মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে।
৪। কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষকেও মশা বেশি কামড়ায়। যেমন ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। ‘ও পজিটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তে বিশেষ ধরনের গন্ধ থাকে, যা মশাকে বেশ আকৃষ্ট করে।
৫। কয়েকটি গবেষণা বলছে, পোশাকের রংও মশা কামড়ানোর কারণ হতে পারে। যেমন, গাঢ় কোনও রং কিংবা লাল-নীল রঙের পোশাক মশাদের বেশ পছন্দ। তাই যে সময়ে মশার উপদ্রব বেশি, সেই সময়ে হালকা রঙের সাদা বা খাকি পোশাক পরাই শ্রেয়।
৬। শরীরের তাপমাত্রা যাঁদের একটু বেশি, যাঁরা বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল খান এবং শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তাঁদের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।
তবে মাথায় রাখতে হবে, সব গবেষণারই ব্যতিক্রম রয়েছে। তাই মশা বেশি কামড়াক বা কম,সতর্ক থাকতে হবে সব সময়ে। অসতর্ক হওয়া চলবে না কারওরই। পরতে হবে শরীর ঢাকা পোশাক। রাতে শোয়ার সময়ে ব্যবহার করতে হবে মশারি। বাড়ির আশপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া চলবে না। জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy