ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কেন বাড়ছে শিশুদের মধ্যে? ছবি: শাটারস্টক।
বাড়ির কারও ডায়াবিটিস থাকলে পরিবারের ছোট সদস্যদেরও ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। চিকিৎসকদের মতে, টাইপ-২ ডায়াবিটিসের জেরে শিশুদের বার বার মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত খিদে, তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি যে কোনও ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেকখানি বেড়ে যায়। শিশুর শরীরে এক বার এই রোগ বাসা বাঁধলে তার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা, খেলাধুলো-সহ নানা কাজে। মূলত খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম ও বাড়তি ওজনের সমস্যাকেই টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসাবে নির্ধারিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে ভারতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
শহুরে খাদ্যাভাসে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের তালিকাই দীর্ঘ থাকে। শিশুদের জলখাবারে ম্যাগি, পাউরুটি, কর্নফ্লেক্সের আধিক্য দেখা যায়। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তার উপরে অধিকাংশ শহুরে শিশু, কিশোর-কিশোরী খেলাধুলোয় অভ্যস্ত নয়। দিনের অধিকাংশ সময়েই এক জায়গায় বসে হয় পড়াশোনা করা কিংবা ভিডিয়ো গেম খেলেই সময় কাটে শহুরে শিশুদের। এই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জেরেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
শিশুদের মধ্যে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাবেন কী ভাবে?
১) শিশুদের খেলার মাঠের বদলে ভিডিয়ো গেমের রিমোট হাতে বেশি দেখা যায়। তাদের মাঠে গিয়ে খেলার প্রতি উৎসাহিত করে তুলুন। প্রতি দিন অন্তত ঘণ্টাখানেক দৌঁড়ঝাপ করা ভীষণ জরুরি।
২) শিশুর ওজন বেড়ে গেলেই সতর্ক হোন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শিশুর উপযুক্ত একটি ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে পারেন।
৩) কেক, চকোলেট কুকিজ় কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার বরাবরই শিশুদের বড় প্রিয়। তবে শিশুদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। এ ছাড়া, তাদের ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার উপরেও লাগাম টানতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy