গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ঠান্ডা সবসময় যে সুখানুভূতি নিয়ে আসে তা নয়। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে শীতে তাপমাত্রার পারদ নামলেও একটা স্যাঁতসেঁতে আর্দ্র ভাব থাকে। যা থেকে বুকে সর্দি বসা, ঠান্ডালাগা, জ্বর-কাশির মতো সমস্যা হতেই থাকে। তার উপর শীতকাল হলে নানা ধরনের অ্যালার্জি মাথা চাড়া দেয়। অতিমারি পরবর্তী সময়ে যা আরও বেড়েছে। শীতে এই ধরনের অসুস্থতা থেকে বাঁচতে তাই খাওয়াদাওয়ায় কিছু বদল আনা যেতে পারে।
কিছু কিছু খাবার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, রান্নায় ব্যবহারের সুগন্ধী কারিপাতাও সে কাজে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়াও শীতের নানা সমস্যার সমাধান হতে পারে রান্নায় কারিপাতা থাকলে।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শীতকালে সর্দি, কাশি এবং ফ্লু-এর প্রবণতা বাড়ে। কারি পাতায় থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই-র মতো অ্যান্টি অক্সিড্যান্টগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি সংক্রমণ মোকাবিলায় শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে।
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ
শীতকালে প্রায়শই হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। কারি পাতা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সহায়ক। এটি বদহজম, ডায়রিয়া এবং বমি বমি ভাব কমাতেও কার্যকরী।
৩. চুল পড়া রোধ এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা
শীতের শুষ্ক আবহাওয়া চুল ও ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। কারি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রোটিন চুল পড়া কমাতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্ষমতা ত্বকের সংক্রমণ ও ব্রণর সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে যা ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কারি পাতা খেলে, তা গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, যা শীতকালে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতার জন্য জরুরি।
৫. রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ
কারি পাতায় আছে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। ফলিক অ্যাসিড শরীরের আয়রন শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যা শীতকালে শরীরকে উষ্ণ ও সতেজ রাখতে এবং ক্লান্তির ভাব কাটাতে সাহায্য করে।