Advertisement
E-Paper

ছুটির দিনেও অফিসের চিন্তা ভাবায়! সময়ে সতর্ক না হলে বাড়বে ‘লিজ়ার সিকনেস’, কী সেই সমস্যা?

যাঁরা কাজপাগল, তাঁদের ক্ষেত্রে ছুটি বিড়ম্বনার সৃষ্টি করতে পারে। মন পড়ে থাকে অফিসের কাজে। এটি এক ধরনের মানসিক সমস্যা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৫
Why taking time off from office work feels stressful for some workaholics

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকেই কাজপাগল হন। পেশাগত দায়িত্ব থেকে তাঁরা ছুটি নিতে পছন্দ করেন না। পারলে সপ্তাহের সাত দিনই তাঁরা অফিসে থাকেন। আর শেষ পর্যন্ত কখনও কাজ থেকে ভ্রমণ বা অন্য কোনও কারণে ছুটি নিলেও, সেই সময়টা শান্তিতে কাটে না। কারণ দীর্ঘ ক্লান্তির কারণে বিশ্রামের সময়েও তাঁদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ছুটি নিয়েও শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয় না। বিষয়টিকে বলা হয় ‘লিজ়ার সিকনেস’।

‘লিজ়ার সিকনেস’ কী

দৈনন্দিন পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকে রেহাই মিললেও তা কাজপাগল মানুষদের না পসন্দ। তাই ছুটির দিনেও তাঁদের মাথার মধ্যে কাজের চিন্তা ঘুরতে থাকে। ছুটি বেশি দিনের হলে, অফিসের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ রাখার প্রচেষ্টাও এক ধরনের মানসিক সমস্যা। কারণ, এই ধরনের মানুষেরা কাজের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল হয়ে থাকেন। তার ফলে কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে থাকলে তাঁদের সমস্যা হতে পারে। মনের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম হতে পারে। আবার দীর্ঘ দিন একটানা কাজের ফলে ছুটির দিনেও গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি ভিড় করতে পারে। তার কারণে ছুটির দিনগুলিও মাটি হতে পারে।

কী করা উচিত

১) চাকরি বা ব্যবসা— আধুনিক অফিসের সিংহভাগ কাজ ইন্টারনেট নির্ভর। ফলে মোবাইল এবং ল্যাপটপ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিদদের মতে, ছুটির সময়ে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এর দিকে মন দেওয়া উচিত। মোবাইল থেকে দূরে থাকতে পারলে অফিসের চিন্তা মনকে ভরাক্রান্ত করবে না।

২) ছুটির দিনে গান শোনা, বই পড়া, যোগাভ্যাস বা শুধুই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করলে পেশাগত কাজের চিন্তা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

৩) ছুটির দিনে কী কী কাজ (ব্যক্তিগত বা পারিবারিক) করতে হবে, তার একটি তালিকা আগে থেকে করে রাখা যেতে পারে। তার ফলে দিনের ব্যস্ততা তৈরি হবে। সেখানে অফিসের চিন্তা প্রবেশ করবে না।

৪) এ রকম পরিস্থিতিতে মনঃসংযোগ বৃদ্ধির জন্য শরীরচর্চা বা ধ্যান কাজে আসতে পারে। নিজেকে সহজ ভাবে বোঝানো উচিত কাজের সময়ে কাজ। ছুটি মানে, সেই ব্যক্তিগত পরিসরে পেশাগত দায়বদ্ধতা প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না।

৫) সমস্যা গুরুতর হলে বা অফিসকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কোনো সমস্যা তৈরি হলে, তখন মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অন্যথায় ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে।

Office work Office Tips Mental Health Work Leave Worklife
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy