অল্পবয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত।
অল্পবয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। চিকিৎসকদের কড়া বার্তা, জীবনধারায় বদল না আনলে মুশকিল! আপনার কপালেও চিন্তার ভাঁজ। কী ভাবে কমানো যায় এই রোগের ঝুঁকি, তা ভেবেই অস্থির! অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কর্মব্যস্ততার কারণে শরীরের দিকে খেয়াল না রাখা, অতিরিক্ত মদ্যপান— এগুলিই এখন আধুনিক জীবনের সঙ্গী। এই সব অভ্যাসের ফল অবশ্যই ফ্যাটি লিভার মতো অসুখ। বেশির ভাগের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলেও তা টের পাওয়া যায় না! কারণ নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো নিয়ে আমাদের মধ্যে এখনও অনীহা রয়েছে। এই রোগ চুপিসারে শরীরে বাসা বাঁধে। অজান্তেই ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিসের মতো প্রাণঘাতী রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে রাস্তার ধারের তেলেভাজা, রোল-চাউমিন, কবিরাজি-কাটলেট খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু এই রোগের ঝুঁকি ডেকে আনছে।
রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া খাবারগুলিতে অত্যধিক ফ্যাট, নুন থাকে। অস্বাস্থ্যকর ভাবে এই খাবারগুলি তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে এই সব খাবার রোজ রোজ খেলেই লিভারের উপরে চাপ পড়ে। মূলত লিভারের চারপাশে ফ্যাট জমার কারণেই ফ্যাটি লিভার হয়। রোজ অফিস থেকে ফেরার পথে ভাজাভুজি খাওয়া, বাড়ি ফিরেই রেস্তরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করার কারণে লিভারে ফ্যাটের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।
রাস্তার ধারের চপ, শিঙাড়া, পেঁয়াজি, কচুরি, জিলিপি খেতে কমবেশি সকলেই পছন্দ করেন। অথচ এই সব খাবার যে তেলে ভাজা হচ্ছে, তা কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে যে কড়াই ভর্তি তেল দিয়ে ভাজাভুজি শুরু হচ্ছে, বিকেলেও সেই তেলেই ভাজা হচ্ছে চপ, কাটলেট। এর ফলে খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। ফ্যাটি লিভার শরীরে বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ কিন্তু এই ট্র্যান্স ফ্যাট। এই ভাজাভুজি দিনের পর দিন খেতে থাকলে ওজন বাড়তে বাধ্য। ওবেসিটিও কিন্তু ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী হতে পারে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে সবার আগে এই সব খাবারের উপর লাগাম টানা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy