Advertisement
E-Paper

ভুঁড়ি কমাবেন তবে জিমে যাওয়ার সময় নেই? ৫ মিনিটের ব্যায়ামে বাড়িতেই হবে মুশকিল আসান

কেবল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে জমে থাকা মেদকে জব্দ করতে প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা করার সময়। ফলে শরীরের ওজন বাড়ছে হু হু করে। অল্পবিস্তর ডায়েট শুরু করলেও, ভালমন্দ খাবার দেখেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়!

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১০:৪৩
জিমে না গিয়েই ঝরবে ওজন, কিন্তু কী ভাবে?

জিমে না গিয়েই ঝরবে ওজন, কিন্তু কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ি থেকে অফিসে টিফিন না এনে, বাইরের খাবার কিনে খাওয়া হোক কিংবা অফিস ফেরত চপ-মোমো-চাউমিন বাড়িতে নিয়ে যাওয়াই হোক, জীবনযাপনে নানা অনিয়ম করার সময় রয়েছে আমাদের। নেই কেবল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে জমে থাকা মেদকে জব্দ করতে প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা করার সময়। ফলে শরীরের ওজন বাড়ছে হু হু করে। অল্পবিস্তর ডায়েট শুরু করলেও, ভালমন্দ খাবার দেখেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়!

এই সমস্যা দূর করতে পারেন রোজ মাত্র পাঁচ মিনিট সময় খরচ করলেই। পাঁচ মিনিটের একটি অভ্যাসই মেদ জমার পথে বাধা হয়ে উঠতে পারে। ভাবছেন তো, পাঁচ মিনিটের কোন ব্যায়ামে মেদ ঝরানো সম্ভব? উত্তর হল, স্কোয়াট। চেয়ারে বসার মতো করে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর ও পিঠ সোজা রেখে দাঁড়ানোকেই স্কোয়াট বলে। এই সময় হাত দু’টো সামনের দিকে টানটান করে ছড়িয়ে দিন।

রোজ শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট করুন।

রোজ শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট করুন। ছবি: শাটারস্টক।

রোজ শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট করুন। শরীরের অনেকটা উপকার মিলবে। স্কিপিং, দৌড়নো, হাঁটাহাঁটিতে পায়ের পেশির যে উপকার মেলে, স্কোয়াট থেকে তার অনেকটাই পাওয়া সম্ভব। কোমর ও পায়ের পেশিকে শক্তসমর্থ করতেও স্কোয়াটের জুড়ি মেলা ভার। আর কী কী উপকার হয় স্কোয়াট করলে?

১. টেস্টোস্টেরন ও গ্রোথ হরমোন ক্ষরণে বিশেষ কার্যকর এই ব্যায়াম। যার জেরে পেশির বৃদ্ধি ও ভরকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। সারা শরীরে শক্তির সমান বণ্টনের ক্ষেত্রেও বিশেষ কাজ করে এই ব্যায়াম।

২. নিয়ম করে এই ব্যায়াম করলে কথায় কথায় পেশিতে টান, গাঁটে ব্যথা, একটু দৌড়ঝাঁপেই পেশির ব্যথার মতো অসুবিধা দূর হয়। এই ব্যায়ামে শরীরের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দেহের ভারসাম্য, গতিশীলতা সব কিছুকেই স্বাভাবিক করতে ব্যায়ামটি অভ্যাস করুন।

৩. সাধারণ হাঁটাহাঁটিতে যে পরিমাণ ক্যালোরি ঝরে, তার চেয়েও বেশি ক্যালোরি ঝরাতে পারে এই ব্যায়াম। তবে নিয়ম মেনে করলে তবেই লাভ হবে।

৪. শরীরের গঠন, পিঠ ও কোমরের আকার ও গোটা শরীরে নানা ‘অ্যাবস’ তৈরি করতে স্কোয়াট একাই একশো। শুধু তা-ই নয়, শরীরে ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ, লিপিড মেটাবলিজম, রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখা ইত্যাদিও এই ব্যায়ামের মাধ্যমে সম্ভব। ডায়াবিটিস, ওবেসিটি ইত্যাদি থেকে শরীরকে অনেকটাই দূরে রাখার ক্ষমতা রাখে স্কোয়াট।

৫. এই ব্যায়াম করলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। হরমোন ক্ষরণ, কোষে কোষে পুষ্টিগুণ পৌঁছনোর কাজও সহজ হয়ে যায়।

Weight Loss Tips Weight Loss
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy