তন্বী, সুন্দরী জ়ারিন খানের রূপের তুলনা একসময়ে ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে করা হত। যদিও হাতেগোনা কিছু ছবিতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। জ়ারিন জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের গঠনের জন্য একসময়ে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কম বয়সে তাঁর ওজন ছিল প্রায় ১০০ কেজির কাছাকাছি। পরবর্তী সময়েও ভারীক্কি গড়নের জন্য নানা কথা শুনতে হয় জ়ারিনকে। ওজন কমানোর যাত্রাপথও সহজ ছিল না। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা, শরীরচর্চা, জীবনযাপনকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জ়ারিন নিজেই জানিয়েছেন, কী ভাবে ১০০ কেজি থেকে ওজন কমিয়ে ৫৭ কেজিতে এনেছিলেন তিনি।
ওজন তো রাতারাতি কমে না! তার জন্য পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও অসীম ধৈর্য প্রয়োজন। জ়ারিনের কথায়, প্রায় ৫০ কেজির মতো ওজন কমানো মানে নিজেকে একপ্রকার শাস্তিই দেওয়া। পছন্দের সব খাবারে রাশ টানতে হয়েছিল, কেবলমাত্র তরল খাবার খেয়েই দিন কাটাতেন তিনি। সেই সঙ্গে কার্ডিয়ো ও স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতে হয়েছিল। তবে ওজন ঝরতে শুরু করার পর, ফের সুষম ডায়েটে ফিরে যান তিনি। তবে যা খেতেন, সবই মেপে ও বারে বারে।
আরও পড়ুন:
কেমন ডায়েট করেন জ়ারিন?
ওজন কমানোর প্রায় ৮০ শতাংশই নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসের উপর। ১০০ কেজি থেকে যখন কমাতে শুরু করেন, তখন গোড়ায় শুধু তরল খাবারই খেতে হত। পরে ওজন কমে যাওয়ার পর ২ ঘণ্টা অন্তর মেপে খাওয়া শুরু করেন। সকালে ডিমের সাদা অংশ ও ওট্স, তার সঙ্গে এক বাটি ফল দিয়ে দিন শুরু করেন জ়ারিন।
দুপুরে ভাত বা রুটির বদলে ব্রাউন রাইস, সব্জি ও ডাল খেতে ভালবাসেন। প্রোটিনের জন্য মাছ বা মাংস।
সন্ধ্যায় একমুঠো বাদাম বা অঙ্কুরিত ছোলার স্যালাড এবং রাতে স্যুপ, স্যালাড বা গ্রিলড চিকেন খান জ়ারিন।
কার্ডিয়ো ও পিলাটেসই ভরসা
দৌড়, সাঁতার, পিলাটেস ও নানা ধরনের যোগব্যায়াম করেন জ়ারিন। শুরুতে ওজন কমানোর জন্য নানা ধরনের কার্ডিয়ো ব্যায়াম ও পিলাটেসই ভরসা ছিল তাঁর। পিলাটেস শুধু শরীর ফিট রাখে না, এর কাজ আরও বেশি। স্লিপ ডিস্ক, ফ্রোজ়েন শোল্ডার, স্পন্ডিলোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটি — এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেশির জোরও বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও আছে ফ্যাট বার্নিং। ক্লাসিক ম্যাট, কন্টেম্পোরারি স্টুডিয়ো, ক্লিনিক্যাল ও গ্রুপ রিফর্মার— নানা ধরনের পিলাটেসে অভ্যস্ত জ়ারিন।
শুধু ব্যায়াম বা ডায়েটে নয়, জীবনযাপনেও নানা বদল এনেছেন অভিনেত্রী। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম ও সকাল সকাল উঠে শরীরচর্চায় অভ্যস্ত করেছেন নিজেকে। ভাল থাকতে নিয়ম করে মেডিটেশনও করেন। জ়ারিন জানিয়েছেন, সংযত ও নিয়মানুগ জীবনযাত্রাই তাঁকে অনেক সুস্থ রেখেছে।