দাম্পত্য জীবনে স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্কের ব্যাপারে চন্দ্রের অবদান অপরিসীম। দম্পতির পরস্পরের সব কিছু, যেমন, আকর্ষণ, সাহচর্য্য, সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও জীবনী শক্তির বৃদ্ধি, যৌন সম্বন্ধ এমনকি সু-প্রজননের প্রশ্ন উত্তর নির্ভর করছে চন্দ্রের ওপর।
দেখা যাক দাম্পত্য জীবনে চন্দ্র নিয়ে জ্যোতিষ মতামত
চন্দ্র মন ও অনুভূতির কারক গ্রহ। কাউকে ভাল লাগা বা না লাগার রসদ প্রদান করে চন্দ্র। একজনের জন্মকালীন চন্দ্রের সঙ্গে অন্যজনের লগ্ন বা রবির সম্পর্ক অনুকূল থাকলে তারা অবশ্যই পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত হবে। তাদের মধ্যে প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠবেই। কিন্তু যদি উভয়ের জন্মকালীন প্রতিকূল সম্বন্ধ থাকে, তা হলে পরস্পরের মধ্যে বিরাগ ভাব জন্মাবেই। স্বামীর ছকে চন্দ্র যে স্থানে অবস্থান করে, সেখানে বা তার সপ্তম রাশিতে যদি স্ত্রীর রবি বা লগ্ন হয়, তা হলে তারা পরস্পরের দিকে আকৃষ্ট হবেই।একের চন্দ্রের সঙ্গে অন্যের বৃহস্পতির অনুকূল সম্বন্ধ বিশেষ রোমান্টিক প্রীতি সূচনা করে।
চন্দ্র ও সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি
স্বামীর আর্থিক উন্নতি, গৃহভূমি, আসবাবপত্র, দাস-দাসী, অলঙ্কার প্রভৃতি প্রাপ্তি ও আহার বিহারে স্বাচ্ছন্দ্য– এসব সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধির লক্ষণ। বিয়ের পর স্ত্রীর ছকে, চন্দ্র ও বৃহস্পতি যদি কেন্দ্র কোণপতি হয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তা অতীব শুভ যোগ হয় সংসারের ক্ষেত্রে।
চন্দ্র ও যৌন সম্বন্ধ
আরও পড়ুন: কোন গ্রহের অশুভত্বে ঋণী হয়ে পড়তে হয় জেনে নিন
যৌন সম্বন্ধ প্রীতিকর না হলে স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্ক কখনওই প্রগাঢ় হয় না। এক্ষেত্রে একজনের চন্দ্র যদি অপরজনের মঙ্গলের সঙ্গে ক্ষেত্র বিনিময় বা দৃষ্টি সম্বন্ধ করে, তা হলে প্রীতিকর যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে।
চন্দ্র ও সু-প্রজনন
পরস্পরের সু-প্রজননের ক্ষেত্রে চন্দ্রের অবদান বিরাট। একজনের চন্দ্র বা বৃহস্পতির সঙ্গে অপরের শুক্র গ্রহের শুভভাবে সু-প্রজনন সম্ভব হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy