অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বল জ্বল করে ক্যাটস আই। সেই জন্যই হয়তো এর নাম ক্যাটস আই। এই রত্ন দেখতে বেশ আকর্ষণীয় হয় এবং এর মধ্যে উজ্জ্বল বড় রেখা থাকে। ভারতের গুজরাত, রাজস্থান-সহ আশেপাশের অঞ্চলেই মূলত ক্যাটস আই পাওয়া যায়। বিদেশে আমেরিকা, আরব, শ্রীলঙ্কা ও ব্রাজিলে বিশেষত পাওয়া যায় এই রত্ন। শ্রীলঙ্কার ক্যাটসআইকে গুণমানের বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ ধরা হয়। সাধারণত এটা সাদা, কালো, সবুজ, হলদেটে এবং শুকনো পাতার মতো রঙের হয়। কিন্তু সবথেকে বড় সমস্যা হল আসল ক্যাটস আই চিনবেন কি করে। দেখা যাক এই বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র কি কথা বলছে।
ক্যাটসআই সাধারণত চার শ্রেণির পাওয়া যায় –
শিশুপালী – এটা আকারে বড়। স্ফটিক – এটা অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং জমকালো হয়। পাঁচ – এই প্রকার ক্যাটস আইতে কোনও প্রকার আঁচড় লাগলেই নষ্ট হয়ে যায়। গীরিকাঁচ – এই প্রকার ক্যাটস আইতে কোনও রকম উজ্জ্বলতা থাকে না।
সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাটস আই-এর পরিচয় পাবেন কি করে জেনে নিন –
এটা মসৃণ, জমকালো ও হাতে নিলে পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এটা অনুমানের থেকে বেশি ভারী হয়। উন্নত মানের ক্যাটস আইতে তিনটি রেখা যুক্ত ডোরা দাগ থাকে। চিড় ধরলে, বিন্দু বা কোনও রকম দাগ থাকলে সেই ক্যাটস আই নিম্নমানের হয়।
এত গেল শ্রেষ্ঠ ক্যাটস আই- এর গুণাবলী, কিন্তু আসল ক্যাটস আই নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা সবাই সমস্যায় পড়ি। তাই সহজ উপায়ে ক্যাটস আই চেনার কতগুলি নিয়ম বলা হল। যেমন আসল ক্যাটস আই ঘষলে তাতে উজ্জ্বলতা বাড়তেই থাকে কিন্তু নকলের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। উঁচুনিচু বা কালো দাগযুক্ত এবং জলের রঙের ক্যাটস আই দোষপূর্ণ ও হানিকারক। ক্যাটসআই কেতু গ্রহের রত্ন। কেতুর অশুভ গ্রাস থেকে বাঁচতে প্রধানত ক্যাটস আই ধারণ করা হয়। যে ব্যক্তির জন্ম কুষ্ঠিতে সূর্য মীন রাশিতে অবস্থিত এবং যার জন্ম ১৫ই মার্চ থেকে ১৪ই এপ্রিলের মধ্যে হয়েছে তার ক্যাটসআই ধারণ করা উচিত। তবে এই ক্ষেত্রে জ্যোতিষী বা রত্ন বিশারদের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy