জ্যোতিষ শাস্ত্রের ভাষায় সূর্য অর্থাৎ রবির কক্ষপথ দুটি বিন্দুতে চন্দ্রের কক্ষপথকে ছেদ করে। অন্যদিকে চন্দ্র ঠিক রবির কক্ষপথকে দুটি বিন্দুতে ছেদ করে। উত্তর দিকের ছেদ বিন্দুকে রাহু ও দক্ষিণদিকের ছেদ বিন্দুকে কেতু বলা হয়। অর্থাৎ এরা দুটো গাণিতিক বিন্দুমাত্র, এদের কোনও বস্তুগত উপস্থিতি নেই। কিন্তু এদের প্রভাব মানব জীবনে ভয়ানক ও সুদূরপ্রসারী। আসুন ফলিত জ্যোতির্বিদ্যা অনুসারে রাহু ও কেতু কী ভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে সেই বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।
রাহু হল অস্থিতিশীল শক্তি। রাহুর নিজের কোনও ঘর নেই। রাহু যে ভাবে বা ঘরে অবস্থান করে সেই ভাব বা ঘরকে প্রভাবিত করে। যে নক্ষত্রে অবস্থান করে তার মতো বা যে গ্রহের সঙ্গে থাকে তার মতো ফল প্রদান করে। সব গ্রহ স্থান পরিবর্তন করে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে, কেবল মাত্র রাহু ও কেতু চলে ঘড়ির কাঁটার দিকে।
এখন দেখে নেওয়া যাক রাহু একা বারোটি ভাবের প্রথম ভাব বা লগ্ন-ভাবে কী ফল প্রদান করে —
১। জাতক-জাতিকার মস্তিষ্কে একটা অলীক, অবাস্তব ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। ফলে যা সম্ভব নয় বাস্তবে তার পেছনে জাতক বা জাতিকাকে ছুটতে প্ররোচিত করে।
২। ছাত্র বা ছাত্রীরা সারা বছর রুটিন মাফিক পড়াশোনা করবে না, তারা পরীক্ষার ঠিক দু’মাস আগে স্টেজে মেক আপ দিয়ে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
৩। জাতক-জাতিকা নিত্যকর্ম সঠিক সময়ে করে না। যেমন ঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা ইত্যাদি।
৪। এরা মিথ্যা কথাকে সত্যি বলে চালানোর চেষ্টা করে।
৫। কারও সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয় না।
৬। মাথা সর্বদা গরম করার প্রবণতা থাকে। কোনও কিছুকেই ভয় করে না। দাদাগিরি করবার প্রবণতা সর্বক্ষেত্রে দেখা যায়।
৭। জাতক-জাতিকাদের সারা জীবন কোনও না কোনও বড় সমস্যা সামলাতে হয়। সুনাম পায় না। কর্মহানি ও সম্মানহানি হয়।
৮। এরা হাই প্রেসারে ভোগে এবং ব্রেন স্ট্রোকে জীবন হানির সম্ভাবনা দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy