অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই তিনটি কাল নিয়ে মহাকাল। আর সেই মহাকালের শক্তি কালী। দশমহাবিদ্যার ইনি প্রথমা মহাবিদ্যা। অনন্তকালে সৃষ্টি রূপিণী পরমা প্রকৃতির রূপ এই মহাকালী। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই মহাকালী কবে এবং কেন আবির্ভূত হলেন।
মা কালী কখন আবির্ভূত হলেন -
সৃষ্টির আদিতে যে সময় বিষ্ণু যোগনিদ্রায় আচ্ছন্ন। বিষ্ণুর নাভিকমলে ব্রহ্মা বিরাজিত। সেই সময় বিষ্ণুর কর্ণফুল থেকে মধু ও কৈটভ, দুই দৈত্যর সৃষ্টি হয়। কোনও কারণে তারা বহ্মাকে আক্রমণ করতে গেলে, ব্রহ্মা তখন মহাকালীর স্তব করেন। প্রথম ভক্তের ডাকে মায়ের কালী রূপে আবির্ভাব।
মা কালী কেন আবির্ভূত হলেন -
মা কালী বা মা করুণাময়ী, তার কাছে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। যিনি আকুল হয়ে ডাকবেন, তাকে রক্ষা করতে মা বার বার আবির্ভূত হবেন। তিনি দেবতা, রাক্ষস, দৈত্য বা মানুষ যিনিই হন। মা কালীকে অনেকেই অনেক কারণে ডেকে থাকেন, আর মা তার ভক্তদের দশ হাতে রক্ষা করেন। মাকে কেউ ডাকে আর্থিক উন্নতির জন্য, আবার কেউ ডাকেন সন্তানের জন্য, রোগ, শত্রু ও এই রকম নানা কারণে ভক্তরা মাকে ডেকে থাকেন।
কালী পূজোর দিনের কিছু টোটকা -
১) কালী পূজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত একটা ঘি-এর প্রদীপ ঘরের ঠাকুরের আসনে জ্বালিয়ে রাখুন, খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন নিভে না যায়।
২) কালী ঠাকুরের মন্দিরে কিছুটা আতপ চাল, একটি গোটা নারকেল, ১০৮ টি জবা ফুলের মালা এবং কিছুটা ঘি দান করুন।
৩) কালী পূজার দিন রাতে বাড়ির ছাদে একটি কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ জ্বালুন।
৪) কালী পূজার দিন সন্ধ্যার পর বট গাছের গোঁড়ায় তিন বার কালো তিল রাখুন। মনের আশা পূর্ণ হবে।
৫) কালী পূজার উপবাস যারা করেন, তারা পূজার পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করান, তাতে ফল খুব ভাল পাবেন।
৬) কোনও মন্দিরে একটি খাড়া দান করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy