মুলত লগ্নভাব থেকে মানুষের শরীরের স্বাস্থ্য ও চতুর্থ + চন্দ্রের বলাবল অনুসারে মনের স্বাস্থ্য বিচার করা হয়। মানুষের মন ত্রিস্তরে গঠিত। সচেতন, অসচেতন, ও অবচেতন।এই গঠনই নির্ধারণ করবে যে সে কিরকম মানসিকতার।যদিও প্রতিটি আচরণেরই এক-একটি আলাদা বিচার রয়েছে।
যেমন ধরা যাক কারো লগ্নে তৃতীয়ভাব কোনও ভাবে পীড়িত, সে কিন্তু প্রচণ্ড অধৈর্য চরিত্রে পরিণত হবে। আবার কারো যদি নবমভাবের সাথে একাদশ ভাবও পীড়িত হয়ে পড়ে, তখন সে ব্যক্তি ভাগ্যের হাতে মার খেতে খেতে রুক্ষ মেজাজের হয়ে পড়ে। প্রথমত দেখা উচিত, যে মানুষটির ছক বিচার করা হচ্ছে সে কোন পরিস্থিতিতে বড় হয়েছে, তার খাদ্যাভ্যাস, রুচিবোধ, শিক্ষাদীক্ষা ইত্যাদি বিষয়।
তাই একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিত যে স্থান-কাল-পাত্রই নির্ধারণ করে কোনও মানুষের মেজাজ হারানোর কারণকে। কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় কারোর মেজাজ সত্যি হারায়, আবার কারোর মেজাজ সে ইচ্ছাকৃত হারিয়ে নিজেকে জাহির করেন। এই রাগ কখনো মানুষের অক্ষমতাকে আবার কখনো মনোবিকারকে প্রকাশ করে। এই দুই সমস্যার একই সমাধান হতে পারে না। তাই এইসব ভেদাভেদ জ্ঞানের জন্য চাই বাস্তববাদী মনন। একজন আধুনিক মনস্ক জ্যোতিষি কিন্তু অনায়াসেই এই দুই সমস্যার ভেদাভেদ করতে পারেন।
অর্থাৎ মানুষ এমনই এক উন্নততম জীব যার ব্যক্তিত্ব তথা মান রয়েছে এবং সমাজে এই ‘মান’ বজায় রাখতে যে সচেতনতা প্রয়োজন তাকেই বলে ‘হুঁশ’ আর দুইয়ের মেলবন্ধনেই ‘মানুষ’। তাহলে থেকে একটা ব্যাপার পরিষ্কার যে মান ও হুঁশ এই দুই মানদণ্ডের একটিতে যদি টান পড়ে তবে হারিয়ে যায় তার ব্যক্তিত্ব, বিবেক, হিতাহিত জ্ঞান আর তখনই আমরা দেখি যে একজন পরিচিত মানুষও কেমন যেন অপরিচিতি হয়ে যায়। আমরা সাধারনভাবে মানুষের বিবেকহীন অবিবেচকের মতো আচরণকেই বলি রাগ ও অভিমান।
আমাদেরকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে রুক্ষ মেজাজের মোক্ষম দাওয়াই হল ভালবাসা, তার পরতো জ্যোতিষি তাই না !