Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জ্যোতিষে মাস্টার নাম্বারের (১১, ২২,ও ৩৩) তাৎপর্য

হিব্রু, কাবালা, ইহুদি মিষ্টকরা যে কোনও মাসের ১১ ও ২২ তারিখে জন্মেছে সেই সব জাতক/জাতিকাকে আর সকলের থেকে সব সময় আলাদা চোখে দেখে। বা যাদের নামের অক্ষর সংখ্যার যোগফল ১১, ২২ ও ৩৩ তাদের অন্য চোখে দেখে।

অসীম সরকার
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

জ্যোতিষে বা নিউমেরোলজিতে (সংখ্যা বিজ্ঞান) অনন্ত নম্বর বা সংখ্যা রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র তিনটি ডবল ডিজিট সংখ্যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই তিনটি সংখ্যা হচ্ছে ১১, ২২ ও ৩৩। এই তিনটি সংখ্যাকে রিডিউস করা হয় না যার ফলে ১১, ২২ ও ৩৩ কে মাস্টার নাম্বার বলে। রিডিউস করা মানে যেমন ১১=১+১=২ বা ২২=২+২=৪ অর্থাৎ ১১ রিডিউস করে ২ আবার ২২ রিডিউস করে ৪ হয়। তার কারণ ১১,২২ ও ৩৩ এই তিনটি সংখ্যাতে শক্তি বা পোটেনশিয়ালটি অনেক বেশী যা অন্য সংখ্যাতে নেই। এই তিনটি নম্বারকে সাইকিক্যাল নম্বার বা সংখ্যা বলে। সংখ্যা বিজ্ঞানে বলে প্রতিটি নম্বারের নিজস্ব বিশেষ তাৎপর্য আছে। কিন্তু ১১, ২২ ও ৩৩ এই তিনটি নম্বারে আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক রহস্যগত তাৎপর্য অনেক গুণ বেশী যা অন্য সংখ্যাগুলিতে একদম নেই। যে কারণে ১১, ২২ ও ৩৩ সংখ্যা তিনটিকে মাস্টার নম্বার বলে। এই নম্বারগুলি নেপথ্য শক্তি বা সাইকিক পাওয়ার দ্বারা অনেক বেশী চার্জড বা শক্তিপূত। কেউ কেউ এই তিনটি নাম্বার কে ‘এঞ্জেলিক নম্বার’ও বলেন। কারণ এই সংখ্যার লোকেরা সব থেকে বেশী দেবতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

হিব্রু, কাবালা, ইহুদি মিষ্টকরা যে কোনও মাসের ১১ ও ২২ তারিখে জন্মেছে সেই সব জাতক/জাতিকাকে আর সকলের থেকে সব সময় আলাদা চোখে দেখে। বা যাদের নামের অক্ষর সংখ্যার যোগফল ১১, ২২ ও ৩৩ তাদের অন্য চোখে দেখে।

এই সব ডবল ডিজিট সংখ্যার জাতক/জাতিকার চেহারায় অদ্ভুত একটা রহস্যময়তা ঘিরে থাকে। এদের আন্তর জীবন বা মনের প্রকাশ মা বাবা সহ বাইরের লোকেরা একদম বুঝতে পারে না। এরা ছোটবেলা থেকে একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বড় হয়ে ওঠে। প্রায়শ এরা লোকের ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়। বাস্তবে এরা অন্তর জগতের লোক। এদের অনুভূতি খুব তীক্ষ্ণ। সব সময় এদের মধ্যে ইনটিঊসান বা বোধি খেলা করে, এরা সেটা আত্মগোপন করে রাখে পাছে লোকে ভুল বোঝে।

এদের প্রায় সকলেই ওল্ডসোল বা প্রচীন আত্মা মানে সাধারণের থেকে অনেক বেশী জন্মান্তর অতিক্রম করেছে। এদের আন্তর ম্যাচুরিটি বা অভিজ্ঞতা সাধারণের থেকে অনেক বেশী। এদের ১২ বছরের একটি বালিকা যে শক্তি বা অভিজ্ঞতা বহন করে তা একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধেরও নেই।

১১ সংখ্যার তাৎপর্য:

এ বারে আমরা যে কোনও মাসের ১১ তারিখে জন্মেছে এমন সব জাতক/জাতিকার প্রকৃতি বা স্বভাব নিয়ে আলোচনা করব। অবশ্যই ইংরেজি মাসের জন্ম তারিখ হতে হবে। এক কথায় ১১ তারিখের জাতক/জাতিকারা ভিশনিষ্ট। এরা অল্প বয়স থেকেই কম বেশী ভিশন বা আন্তর ছবি দেখে থাকে। এরা স্বপ্নালু প্রকৃতির হয়ে থাকে। যদিও স্বপ্ন আর ভিশন কখনও এক না।

এরা ইনটিউসান বা বোধি বা অনুভূতিসম্পন্ন হয়ে থাকে। এরা সাংঘতিক ভাবে স্পর্শকাতর সম্পন্ন। তাই এরা তর্ক বা ঝগড়াঝাঁটি পুরোপুরি এড়িয়ে চলে। ১১ সংখ্যা বোঝায় সাবকনশাস মন, নার্ভাস এনার্জি, আলোকিত করা, লজ্জা ইত্যাদি।

১১=১+১=২ অর্থাৎ ১১ সংখ্যার লাইফ পাথ নম্বার হচ্ছে ২। তাই আজীবন ১১ সংখ্যার জাতক/জাতিকারা দ্বন্দ্বে ভোগে। দ্বৈতবোধ এদের জন্মগত চেতনায় অবস্থান করে। এই সংখ্যার লোকেরা সব সময় আড়ালে থাকতে চায়। জন্মগত ভাবে অন্তর্মুখী। এই নম্বারের নেগেটিভ দিক হচ্ছে ভয়, ফোবিয়া, হ্রিসট্রিয়া ও আতঙ্ক।

এই সংখ্যা জিনিয়াস ও পাগলের মাঝ দিয়ে যে সীমারেখা গেছে তার উপর দিয়ে অতি সাবধানে হেঁটে চলা।

২২ সংখ্যার তাৎপর্য:

২২ সংখ্যাকে সংখ্যা বিজ্ঞানে সবথেকে শক্তিশালী সংখ্যা বলে, যার ফলে ২২ সংখ্যার নাম মাস্টার বিল্ডার। উচ্চ পোটেনশিয়ালিটির দিক থেকে সব থেকে কৃতকার্যপূর্ণ সংখ্যা। ফলে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে। বাইশ অবিশ্বাস্য স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।

চাপে পড়লে ২২ সংখ্যা পারে না এমন কিছু নেই। ২২ সংখ্যা সব ব্যাপারে একটা বিপরীত মত দেয় ফলে অনেকে ভুল বোঝে। এই সংখ্যার বক্তব্য পেশ করার চেয়ে করে দেখানোতে আগ্রহ বেশী।

২২=২+২=৪ অর্থাৎ ২২ এর লাইফ পাথ নম্বার হচ্ছে ৪ যার মানে চার সংখ্যা যেমন টেবিলের চারটি পায়া। কোনও কিছু করতে গেলে সেটা টেকসই হবে কিনা সব দিক থাকে দেখতে হয়। যেমন চারটি পায়া মানে মজবুত কিছু একটা বোঝায়।

২২ সংখ্যার ইনটিউশান বা বোধি অনেক বেশী, জন্মগত ভাবে অকাল্ট বা গুপ্ত বিদ্যাচর্চায় আগ্রহ বেশী। ১১এর মতো ২২ সংখ্যার জাতক/জাতিকার সঙ্গে উপরের জগতের সঙ্গে সাইকিক্যাল উপায়ে সহজে যোগাযোগ হয়। এরা ভয়ংকরভাবে জন্মান্তর বাদে বিশ্বাসী।

এদের প্রায় সবাই ওল্ড-সোল বা প্রাচীন আত্মা হয়ে থাকে। এদের সাতটি অরো বাদে আর একটা অতিরিক্ত অরো থাকে যাকে হোয়াইট লাইট অরো বলে। যার ফলে সহজেই এঞ্জেল বা দেব-দেবতার সঙ্গে সংযোগ থাকে। এরাও ১১ র মতো ভিশনিষ্ট হলে সহযে নুয়ে পড়ে না।

৩৩র সংখ্যার তাৎপর্য:

৩৩ সংখ্যাকে মাস্টার টিচার নাম্বার বলে নিউম্যারোলজিতে অভিহিত করা হয়। কারণ এই সংখ্যা সব থেকে বেশী অপর কে প্রভাবিত করে থাকে। এই সংখ্যার লোকেরা সব থেকে নেতৃত্ব দেন।অনেক ধর্ম গুরু এই সংখ্যার হয়ে থাকেন। শিক্ষক হবার গুণাবলী এই সংখ্যাতেই বেশী। এদের স্বভাব দ্বৈত বোধ রয়েছে কারণ একই সঙ্গে এরা ধর্ম গুরু আবার সেকুলার লিডার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vedic Prediction Master Numbers Numerology
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE