গুরু অর্থাৎ বৃহস্পতি যখন রাহুর সঙ্গে অবস্থান করে অথবা বৃহস্পতি রাহুর দ্বারা বা কেতুর দ্বারা দৃষ্ট হয় তখন গুরুচণ্ডাল দোষ সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে বৃহস্পতি দুর্বল হলেই এই দোষের প্রভাব বেশি হয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন ভাবে/ঘরে গুরুচণ্ডাল দোষের প্রভাব-
লগ্নে: চরিত্র ঠিক থাকে না। আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ে: আর্থিক বিপর্যয়, সাংসারিক/পারিবারিক অশান্তি, মানসিক অশান্তি।
তৃতীয়ে: খুব সাহসী ও জন্ম থেকে চালকের আসনে, কর্কশ কথাবার্তা, বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব।
চতুর্থে: অপরের দ্বারা অনায়াসে কিছু উপলব্ধি করে, পারিবারিক অশান্তি।
পঞ্চমে: সন্তান হওয়াতে সমস্যা বা সন্তানের থেকে সমস্যা।
ষষ্ঠে: অন্য ধর্ম গ্রহণ করে, শত্রু বৃদ্ধি ও পারিবারিক সমস্যা।
আরও পড়ুন: নখের চন্দ্রমার আকার ও তার ফলাফল
সপ্তমে: সাংসারিক বা বৈবাহিক জীবনে অশান্তি, ব্যবসায় সমস্যা।
অষ্টমে: চোট, দুর্ঘটনা, জীবনে জটিলতা।
নবমে: পিতার সঙ্গে বিতর্ক, উচ্চশিক্ষায় সমস্যা।
দশমে: মানসিক দৃঢ়তা কম, কর্মক্ষেত্রে জটিলতা, সম্মানহানি।
একাদশে: অসৎ উপায়ে আয়, অল্প সময়ে প্রচুর সম্পত্তি কিন্তু হঠাৎ পতন।
দ্বাদশে: অদ্ভুত ভাবে আধ্যাত্মিক প্রবেশ। অদ্ভুত চিন্তাধারা এবং নিজেকে আশ্চর্য রূপে অপরের সামনে তুলে ধরে।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই দোষের প্রতিকার কী ভাবে পাওয়া যায়-
১। প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় ধ্যান, যোগ অভ্যাস।
২। শুদ্ধ ও নিরামিষ খাবার গ্রহণ করা।
৩। কুকুরকে নিজ হাতে ভক্ষণ করানো।
৪। ধর্ম, পুজো পাঠ প্রভৃতিতে বেশি করে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
৫। গুরুমন্ত্র ১০৮ বার বা বৃহস্পতি জপ করা—
ওঁ ভূম্ বৃহঃস্পতে নমঃ।
ওঁ বৃম্ বৃহঃস্পতে নমঃ।
ওঁ শ্রীম্ ভ্রম্ বৃহঃস্পতে নমঃ।
ওঁ গ্রম্ গ্রিম্ গ্রুম্ সাঃ গুরুভে নমঃ।।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy