২০২৫ মঙ্গলের বছর। জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গলকে অশুভ গ্রহ বলে গণ্য করা হয়। ফলত নানা খারাপ জিনিস, যেমন দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক মতভেদ, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রভৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনাতেও যে দুষ্ট গ্রহের কোনও প্রভাব নেই তা হলফ করে বলা যায় না। এই পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া ভাল-খারাপ সকল ঘটনার নেপথ্যেই গ্রহের ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
দুর্ঘটনা কখন কী ভাবে দোরগোড়ায় এসে কড়া নাড়ে তা কেউ বলে দিতে পারে না। কিন্তু সেই ভয়ে যে আমরা কোথাও বেড়াতে যাব না তা তো হতে পারে না। ভ্রমণ জীবনেরই অঙ্গ। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে সুষ্ঠু ভাবে, সুরক্ষার সঙ্গে ঘুরে আসার নানা টোটকার কথা বলা রয়েছে। সেগুলি সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারলে বিপদ থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করা যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
ঘুরতে যাওয়ার সময় কী কী জিনিস মানতে হবে?
১. বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় যাত্রা সর্বদা ডান পায়ে শুরু করতে হবে। বাঁ পা দিয়ে কখনও কোনও শুভ যাত্রা শুরু করতে নেই।
২. যাত্রা শুরুর আগে অবশ্যই দেবতার নাম স্মরণ করতে হবে। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে বড়দের আশীর্বাদ গ্রহণ করবেন, তরই সঙ্গে ইষ্টদেবতাকেও নমস্কার করে বাড়ি থেকে বেরোবেন।
৩. চেষ্টা করবেন পূর্ণিমার সময় বা তার আশপাশে ঘুরতে যাওয়ার তারিখ ঠিক করতে। তাতে চাঁদের শুভ শক্তি আপনার সঙ্গে থাকবে। আপনার যাত্রা শুভ হবে।
৪. ঘুরতে যাওয়ার দিন সকালে ভগবানকে জল-মিষ্টি অর্পণ করুন। হলুদ রঙের মিষ্টি দিতে পারলে খুব ভাল হয়।
৫. যাত্রা শুরুর মুহূর্তে হনুমান চালিশা বা গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করুন। ঘুরতে গিয়েও প্রতি দিন সকালে উঠে সেই সকল মন্ত্র পাঠ করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৬. জিনিসপত্রের ব্যাগের মধ্যে ঠাকুরের ফুল রাখতে পারলে খুবই ভাল হয়। তা হলে ভগবানের আশীর্বাদ সর্বদা আপনার সঙ্গে থাকবে। তবে জুতো যেখানে রাখছেন সেখানে ঠাকুরের ফুল রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন:
৭. শনিবার ও মঙ্গলবার দিনটি যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলাই শ্রেয় বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার, বুধবার ও শুক্রবারকে কোনও যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে শুভ বলে গণ্য করা হয়।