প্রায় সকল মানুষই ঘুমের সময় মাঝেমধ্যে এমন কিছু স্বপ্ন দেখেন যা তাঁদের ঘুমে ব্যঘাত ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে দিনটাও নষ্ট করে দেয়। দুঃস্বপ্নের ফলে মনে একটা চাপা চিন্তা চলতে থাকে যে কী হবে, না হবে। মনে হয় যে বাজে কিছু ঘটতে চলেছে। নানা কুচিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখা ঠিকও নয়। এর অর্থ হতে পারে আমাদের মনের গহীনে থাকা উদ্বেগ ঘুমের সময় আমাদের স্বপ্ন হয়ে ফিরে আসছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু উপায়ের কথা বলা রয়েছে যেগুলি পালন করলে দুঃস্বপ্নের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
উপায়:
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নান করতে হবে। এরই সঙ্গে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে ঘুমোতে হবে। যে কোনও জামা পরে, বিশেষ করে রাতে খাবার খাওয়ার সময় পরে থাকা জামায় যদি এঁটো লেগে যায়, তা হলে সেই জামা পরে ঘুমোনো যাবে না। এতে খারাপ স্বপ্ন দেখার পরিমাণ বাড়বে বই কমবে না।
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে বিছানা ভাল করে ঝাঁটা দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অগোছালো, অপরিষ্কার বিছানায় ঘুমোনো যাবে না।
- ঘুমোনোর আগে কোনও খারাপ চিন্তা মাথায় আনবেন না। এর ফলেও আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে মন শান্ত হয় ফলে ঘুমও খুব ভাল হয়। খারাপ স্বপ্ন দেখা থেকে রেহাইও পাওয়া যায়।
- দিনের পর দিন খারাপ স্বপ্ন দেখে চললে বালিশের নীচে পেঁয়াজ, কাঁচি বা ছুরি রেখে ঘুমোতে যান। এতে নেগেটিভ শক্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন। ফলে দুঃস্বপ্নও ঘুমের মাঝে জ্বালাতন করবে না।
- ঘরের মধ্যে ভুল করেও জুতো রাখবেন না। এতে বাস্তুর নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলেও আমাদের দুঃস্বপ্নের কবলে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন:
- বিছানার পাশে একটা ময়ূরের পালক রেখে দিন। এতে মানসিক চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে খারাপ স্বপ্ন দেখা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
- উত্তর বা পশ্চিম দিকে মাথা রেখে ঘুমোবেন না। এতে খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বদলে পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমোন। খুব ভাল ঘুম হয়।